কাপ্তাইয়ের শীলছড়ি পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির প্রায় ৫ একর সম্পত্তি বেহাত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সঠিক তত্ত্বাবধানের অভাবে এসব জমি এখন বেদখল হয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
সরেজমিন শীলছড়ি পাওয়ার গ্রিড এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, পাওয়ার গ্রিডের নিজস্ব একাধিক ভবনে লোকজন বছরের পর বছর বিনা ভাড়ায় বসবাস করছেন। এসব ঘরে বসবাসরত কয়েকজন জানান, তারা দীর্ঘ ২০ বছরেরও অধিক সময় ধরে বিনা ভাড়ায় বসবাস করে আসছেন। আবার খালি জায়গায় স্থানীয় এক ঠিকাদারের পাঁচ শতাধিক বালি ভর্তি বস্তা পড়ে আছে।
ওই ঠিকাদারের এক কেয়ারটেকার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জয়নিউজকে বলেন, তারা পাওয়ার গ্রিড হতে এ জায়গা মৌখিকভাবে ভাড়া নিয়েছেন। আবার পাওয়ার গ্রিডের স্টোর রুমে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে অন্য এক ঠিকাদারের লোকজন দিনে-রাতে অবস্থান করছেন।
জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আব্দুল ওয়াব জয়নিউজকে বলেন, একসময় এ স্টোর এবং স্থাপনাসমূহ পিডিবির অধীনে ছিল। তখন কাপ্তাই বিদ্যুৎ সরবরাহ বিভাগের অধীনে এখানে স্টোরে মালামাল রক্ষিত থাকতো এবং ভবনগুলোতে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন থাকতো। তিনি সরকারি এ সম্পত্তি যাতে সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার হয় সেজন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে, চট্টগ্রাম দক্ষিণ ( মদুনাঘাট) পাওয়ার গ্রিডের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুউদ্দীন মো. ফরহাদ চৌধুরী জয়নিউকে জানান, এ বিষয়ে তিনি জেনে বিস্তারিত বলতে পারবেন। তিনি চন্দ্রঘোনা ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড সাব স্টেশনের ইনচার্জের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করতে বলেন।
চন্দ্রঘোনা গ্রিড সাব স্টেশনের সহকারী প্রকৌশলী মো. হাসানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি নতুন যোগদান করেছেন তাই বিষয়টি না জেনে কিছু বলতে পারছেন না বলে জানান।
এবিষয়ে স্থানীয় লোকজন জানান, কোনো এক অদৃশ্য কারণে সরকারি এ বিশাল সম্পত্তির সঠিক ব্যবহারে প্রতিষ্ঠানের লোকজন আগ্রহ দেখাচ্ছে না।