করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে মাস্ক ব্যবহারের ওপর নির্দেশনা বদলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শুক্রবার (৫ জুন) সংস্থাটি বলেছে, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি বা যারা অসুস্থ তাদের বাড়ির বাইরে থাকাকালে মাস্ক ব্যবহার করা উচিৎ। এছাড়া অন্যদের তিন স্তরের কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করা উচিৎ।
জাতিসংঘের এই সংস্থাটি জানিয়েছে, মাস্ক হচ্ছে একমাত্র মাধ্যম বা উপকরণ যেটি করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মাস্ক তিন স্তরের হওয়া উচিৎ। এর প্রথম স্তরটি সিনথেটিক, দ্বিতীয় স্তরটি পলিপ্রোপিলিন এবং তৃতীয় স্তর বা চেহারার সঙ্গে লাগোয়া স্তরটি কাপড়ের হতে হবে। যেসব স্থানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা মুশকিল। যেমন- গণপরিবহন ও গণবিক্ষোভের সময় মাস্ক পরা উচিৎ। অবশ্য মাস্ক পরলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় ও হাত জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।
কোভিড-১৯ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ প্রধান মারিয়া ভ্যান কারখোভ রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমরা জনগণকে মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়ার জন্য সরকারদের প্রতি পরামর্শ দিচ্ছি। আমরা কাপড়ের মাস্ক, যেটি মেডিকেল মাস্ক নয়, সেটি সুনির্দিষ্ট করে দিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে নতুন গবেষণা তথ্য আছে। আমাদের কাছে এখন প্রমাণ আছে, এটি যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা সম্ভাব্য ড্রপলেটের সংক্রামক প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করতে পারে।’