চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ( চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, করোনা পরিস্থিতি সারাবিশ্বকে ক্রমশ কঠিন এক অনিশ্চয়তার মুখে ফেলে দিচ্ছে। এটা বিশ্বের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় কোনো প্রচেষ্টা-ই বাদ রাখা উচিত হবে না, এ চিন্তা মাথায় রেখে সরকার এগুচ্ছে। করোনার কারণে দেশ তথা চট্টগ্রামেও সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে স্থবিরতা এসেছে। আশা করছি করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উন্নয়ন কাজগুলোও গতি ফিরে পাবে।
জাইকার অর্থায়নে ৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৭৬ কিলোমিটার সড়কে এলইডি লাইট স্থাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার (৯ জুন) সকালে নগরের জিইসি মোড়ে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মেয়র বলেন, নগরের ৪১ ওয়ার্ডে এলইডি লাইট স্থাপনের ফলে প্রতি মাসে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয় হচ্ছে। শহরের রাস্তাঘাটে আলোর পরিমাণ আগের চেয়ে অনেকগুণ বেড়েছে। বিদ্যুৎ ব্যয় সাশ্রয়ের পাশাপাশি বেশি আলো পাওয়া যাচ্ছে। মূলত এ কারণেই সড়কবাতি হিসেবে এলইডি লাইট স্থাপিত হচ্ছে।
সিটি মেয়র আরো বলেন, আমার ভিশন অনুযায়ী নগরীকে শতভাগ আলোকিত করার অংশ হিসেবে সড়ক বাতিগুলোকে এলইডিতে রূপান্তর করার উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। চসিকের নিজস্ব অর্থায়নে বিদ্যমান সড়ক বাতিগুলোকে এলইডি লাইটে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল বিগত বছরগুলোতে।
ইতোপূর্বে এসব রোডে ১৫০ ওয়াটের সোডিয়াম বাতি ছিল। এলইডি বাতি সংযোজনের মধ্য দিয়ে আলোকায়নে চট্টগ্রামে নতুন যুগের সুচনা করেছিলাম। এরই ধারাবাহিকতায় ৪১টি ওয়ার্ডে সড়ক, গলি, উপ-গলিতে পরিবেশবান্ধব এলইডি বাতি সংযোজন করার কাজ চলমান ও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এতে করে চসিকের বিদ্যুৎ বিলে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে।
চসিক মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নাগরিকদের দেওয়া ট্যাক্সের বিনিময়ে সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। নাগরিক সেবার ক্ষেত্রে শতভাগ সততা, নিষ্ঠা ও দায়বদ্ধতা থেকে নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত সেবা দিয়ে যাব। নগরবাসীকে দেওয়া ওয়াদা ও ভিশন শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে। আধুনিক বিশ্বমানের নগর গড়ার প্রত্যয়ে ক্লিন ও গ্রিন সিটিতে চট্টগ্রাম রূপান্তরিত হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন, শৈবাল দাশ সুমন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, চসিক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, প্রকৌশলী রেজাউল বারী, সালমা বেগম, আনোয়ারুল হক চৌধুরী ও এইচটিএমএসের পরিচালক প্রকৌশলী মো. মাহবুব হোসেন।