করোনাভাইরাসের কারণে বিপাকে পড়া মানুষদের সুবিধার্থে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব মাশুল জুন পর্যন্ত মওকুফ করা হয়েছিল। সেই সময় আর বাড়ছে না। চলতি জুন মাসের মধ্যে বিলম্ব বিল না দিলে আবাসিক গ্রাহকদের লাইন কেটে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
মঙ্গলবার (৯ জুন) গণমাধ্যমকে তিনি জানান, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এবং জনগণের সুবিধার্থে তিন মাসের সময় দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে যদি কেউ বিলম্ব বিল না দেয় তাহলে তার লাইন কেটে দেবে বিতরণ কোম্পানিগুলো। তবে কেউ যদি সব দিতে না পারেন এবং ১-২ মাসের বিল দেন, সেক্ষেত্রে তা বিবেচনা করা হবে।
এ বিষয়ে ঢাকায় গ্যাস সরবরাহকারী কোম্পানি তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মো. মামুন বলেন, গ্রাহকদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। সময়সীমা এই মাস পর্যন্ত আছে। গ্রাহকদের উচিত, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিল পরিশোধ করা। নয় তো জ্বালানি বিভাগ যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই করা হবে। তবে কেউ যদি ১-২ মাসের বিল দিতে শুরু করে তাহলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
অন্যদিকে গ্যাসের ক্ষেত্রে প্রথমে ৩১ মে পর্যন্ত বিলম্ব বিল মওকুফ করা হয়েছিল। পরে এই সময় বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত করে দেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এ বিষয়ে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ৩০ জুনের মধ্যে বিল পরিশোধ না করলে লাইন কেটে দেয়া হবে।
এর আগে গত ২২ মার্চ করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে জুন মাস পর্যন্ত গ্যাসের বিল এবং মে মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল দেয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব মাশুল নেবে না বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ। সে সময় বলা হয়েছিল, বিল পরিশোধের জন্য বিপুল সংখ্যক গ্রাহককে প্রায় একই সময়ে উপস্থিত হতে হয়। এক্ষেত্রে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।