চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সাংবাদিক মারধরসহ পৃথক চার ঘটনায় ১১ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। উপাচার্যের নির্বাহী ক্ষমতাবলে এ বহিষ্কারাদেশ দেয়া হয়।
মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জানা যায়, বহিষ্কারাদেশপ্রাপ্ত প্রত্যেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন বগিভিত্তিক গ্রুপের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গত ১০ সেপ্টেম্বর একটি জাতীয় পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মিনহাজ তুহিনকে মারধরের ঘটনায় ইংরেজি বিভাগের ১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের মাহমুদুল হাসান রুপককে এক বছর এবং ইতিহাস বিভাগের ১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন, রাজিবুল আলম, মার্কেটিং বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের তৈমুর হোসেনকে দুই মাসের জন্য বহিষ্কারাদেশ দেয়া হয়।
এর আগে, ৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় লেডিস ঝুপড়িতে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী শান্তনু নাথকে মারধরের ঘটনায় ইতিহাস বিভাগের ১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এমাদ উদ্দিন, লোকপ্রশাসনের বিভাগের ১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম খলিল, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন সাজ্জাদ ও পদার্থবিদ্যা বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লিপটন দাশকে চার মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
অন্যদিকে, আমানত হলে ৩০ জুলাই আবাসিক শিক্ষার্থী জাহিন খন্দকারের রুম লুটপাটের ঘটনায় মেরিন সায়েন্সস এন্ড ফিশারিজ ইনস্টিটিউটের ১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের রিফাত আলাম, একই শিক্ষাবর্ষের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী কাউছার ইবনে কাশেমকে ছয় মাসের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে।
এছাড়া, ২৯ মার্চ সোহরাওয়ার্দী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী গিয়াস উদ্দিন হিমেলকে মারধরের ঘটনায় আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের ১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সানদানি রহমান জিকুকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
জয়নিউজ/শহীদ