মহামারি করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণের বিস্তার রোধে এখন পর্যন্ত অধিক সংক্রমিত এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউন করে দেওয়া হবে। সেই এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে। এছাড়া অন্যান্য স্থানে আগের মতোই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস খোলা থাকবে, চলবে গণপরিবহনও।
শরিবার (১৩ জুন) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানান। এর আগে করোনা মোকাবিলায় ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে গত ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে দেয়া হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু হয় গণপরিবহনও।
এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যেতে থাকলে সরকার ফের সাধারণ ছুটির ঘোষণার কথা বললেও এখন সেদিকে যাচ্ছে না। জোনভিত্তিক লকডাউনের মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে চাইছে সরকার।
আরও পড়ুন: ঢাকা-চট্টগ্রামকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে আসছে লকডাউন
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা এখন জোনিংয়ে চলে যাচ্ছি। ঢাকা ও চট্টগ্রামকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে যে জায়গাগুলো সিভিয়ারলি ইনফেক্টেড (মারাত্মক আক্রান্ত) হয়েছে, সেই জায়গাগুলোতে রেড জোন ঘোষণা করে সেগুলোতে বিশেষ ট্রিটমেন্টে আমরা চলে যাব।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যে অবস্থায় চলছে সবকিছু সেভাবেই চলবে। নতুন করে ছুটি ঘোষণা করা হবে না। যে এলাকা রেড জোন থাকবে, সেখানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হবে। পরীক্ষামূলকভাবে পূর্ব রাজাবাজারের লকডাউন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সেখানে কিছু ভুলত্রুটি বের হয়ে এসেছে। লোকজন এখানে টপকাচ্ছে ওখানে টপকাচ্ছে। যাবতীয় সবকিছু স্বয়ংসম্পূর্ণ করে আমরা কোনো স্থান লকডাউন করব।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জোনিং করে লকডাউন, এটা খুবই একটা কার্যকর ব্যবস্থা বলে মনে করছি আমরা। একই সঙ্গে চার-পাঁচটি স্থান রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হতে পারে।’
বেশি আক্রান্ত এলাকাকে রেড, অপেক্ষাকৃত কম আক্রান্ত এলাকাকে ইয়েলো ও একেবারে কম আক্রান্ত বা করোনামুক্ত এলাকাকে গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। রেড জোনকে লকডাউন করা হবে, ইয়েলো জোনে যেন আর সংক্রমণ না বাড়ে সেই পদক্ষেপ নেয়া হবে। সতর্কতা থাকবে গ্রিন জোনেও। লকডাউনের মেয়াদ হবে ১৪ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত।