তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী। প্রায় ১ কোটি মানুষের এই নগরীতে এখন পর্যন্ত ৪ হাজারেরও বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং তা প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। শনাক্ত রোগীদের জন্য যে পরিমাণ সেবাকেন্দ্র ও আইসোলেশন সেন্টার থাকা প্রয়োজন, তা চট্টগ্রামে নেই। তাই আরও আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করার প্রয়োজন রয়েছে।
‘তবে চট্টগ্রামের সিটি মেয়র নগরীতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ যে আইসোলেশন সেন্টারটি স্থাপন করেছেন, তার সুফল অবশ্যই নগরবাসী পাবেন। এ সময় তিনি আইসোলেশন সেন্টারটি প্রতিষ্ঠা করার জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) ধন্যবাদ জানান।’
শনিবার (১৩ জুন) বিকেলে আগ্রাবাদ এক্সেস রোডস্থ সিটি কনভেনশন সেন্টারে চসিকের ব্যবস্থাপনা ও অর্থায়নে নির্মিত ২৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতির সবকিছুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই মনিটরিং করছেন। তাই হতাশার কোনো কারণ নেই। আমরা এও জানি যে, বাংলাদেশ তো বটেই, উন্নত দেশগুলো এত চেষ্টা করেও করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি সামাল দিতে পারছে না। আজ দুর্বল ও সবল একাকার হয়ে গেছে। তাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নিজের সুরক্ষা এবং অপরেরও সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
তথ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জননেতা মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং করোনাকালে তাঁর মৃত্যুকে জাতির জন্য একটি ট্র্যাজেডি বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আজকেই এই আইসোলেশন সেন্টারটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, স্বাস্থকর্মী ও জনবল নিয়ে আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই এখানে রোগী ভর্তি করা হবে। প্রথমত এই সেন্টারে মৃদু ও মাঝারী পর্যায়ের রোগাক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। এদের মধ্যে যাদের অবস্থা গুরুতর হবে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল সহ যেখানে আইসিইউ ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা আছে সেখানে স্থানান্তর করা হবে।
সিটি কনভেনশন হল আইসোলেশনের পরিচালক ডা. সুশান্ত বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোস্তফা খালেদ আহমেদ, সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী, ১৫ আনসার ব্যাটেলিয়ানের ডাইরেক্টর এএসএম আজিজ উদ্দীন ও উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ফারুক।
এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, মো. এরশাদ উল্লাহ, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারহানা জাবেদ, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, বিএমএ চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান, ডা. মোহাম্মদ আলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, আবু সাদাত মো. তৈয়ব, আনোয়ার জাহান, আইটি অফিসার ইকবাল হাসান, সেলিম রেজা, হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, সীকম গ্রুপের এস এম নাসির উদ্দীন আল মামুন, গোলাম কিবরিয়া, ওয়াহিদুল আলম, জোবায়ের আলম ও হামিদুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।