রাজধানীর গুলশানে একটি ফ্ল্যাটের মালিক নর্থ অ্যান্ড কফির ব্যবস্থাপনা পরিচালক যুক্তরাষ্ট্রের রিচার্ড হাবার্ড। করোনা কারণে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাফে বন্ধ থাকায় তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। তবে ফ্ল্যাটটি খালি থাকলেও নিরাপত্তার জন্য ভিতরে ছিল সিসিটিভি ক্যামেরা।
নিজের গুলশানের ঘরটি কি অবস্থায় আছে তা দেখতে মোবাইল ফোন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র থেকেই নিয়মিত সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতেন রিচার্ড। তবে শনিবারের (১৩ জুন) ফুটেজে হঠাৎ দেখতে পেলেন কেউ তার ঘরে হাঁটাহাঁটি করছে। ফ্রিজ থেকে খাবার ও ওয়াইন নিয়ে টেবিলে রেখে এক যুবকের নাচের দৃশ্য দেখে অবাক তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি তা জানালেন বাংলাদেশের সহকর্মীকে।
সহকর্মী খবর দিলেন পুলিশে। রাতেই গুলশান এভিনিউয়ের ৮৯ নম্বর সড়কের ভবনে ঢোকে পুলিশ। কাউকে দেখতে না পেলেও টেবিলের ওপর কিছু রান্না করা খাবারভর্তি কড়াই, জুসের প্যাকেট ও ওয়াইনের বোতল দেখতে পান তারা।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে লুকিয়ে ছিল সে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই একটি বেডরুমের টয়লেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। তার নাম মাসুম। সে মাদকাসক্ত এবং পেশায় চোর।
গ্রেফতারের পর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি করা হয় মাসুমকে। পুলিশ জানায়, চুরির জন্য এসে বাড়িতে ঢুকে প্রচুর খাবার দেখে সে। চুরির কথা ভুলে তিনদিন থাকে। ঘরের খাবারগুলো খেয়ে এই খালি ফ্ল্যাটে আরও কয়েকদিন থেকে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।
মাসুমকে ধরার অভিযানে উপস্থিত থাকা গুলশান থানার ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম জানান, ‘মাসুমের বিরুদ্ধে ঢাকার একাধিক থানায় মামলা রয়েছে। চুরির জন্য একবার গ্রেফতার হয়েছিল । আচার-আচরণ দেখে ধারণা করা হচ্ছে তার মানসিক সমস্যা থাকতে পারে। সে ফুটপাথে থাকে, ফ্ল্যাট খালি পেয়ে এখানে থেকে গিয়েছিল।
তবে ফ্ল্যাটের মালিক এ ঘটনায় কোনো মামলা বা জিডি করতে রাজি হননি। তাই গত মার্চ মাসে গুলশান থানায় দায়ের করা একটি চুরির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় মাসুমকে।
জয়নিউজ/পিডি