ব্যবসা করতেন পারফিউমের। কিন্তু করোনায় ব্যবসা পরিবর্তন করে তৈরি করছেন হেক্সিসল ও সেভলন! শুধু তাই নয়, ড্রামভর্তি এসব নকল সুরক্ষাসামগ্রী বিক্রি করছেন পেপসি, ফানটা ও পানির বোতলে।
এ চিত্র নগরের আছাদগঞ্জ এলাকার পাথরঘাটা রোডে শাহ আমানত পারফিউম ও কেমিক্যাল এবং আল্লার দান কেমিক্যালের।
সোমবার (১৫ জুন) বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অভিযান এখানে পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরিন আক্তার ও গালিব চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযানে লক্ষাধিক টাকার নকল হেক্সিসল ও সেভলন ধ্বংস করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরিন আক্তার জয়নিউজকে বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল আছাদগঞ্জ এলাকার পাথরঘাটা রোডে অনুমোদনহীন নকল ও খোলা হেক্সিসল এবং সেভলন বিক্রি চলছে। অভিযানে গিয়ে যাচাই করে এর সত্যতা পাই। অভিযানের খবরে দুয়েকজন ছাড়া বাকি সবাই দোকান বন্ধ করে চলে যান। অনেকে মালামাল সরিয়ে ফেলেন।
অভিযানে শাহ আমানত পারফিউম ও কেমিক্যালকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ধ্বংস করা হয় লক্ষাধিক টাকার নকল হেক্সিসল ও সেভলন। একইভাবে আল্লার দান কেমিক্যালে অভিযান চালিয়ে লক্ষাধিক টাকার নকল হেক্সিসল ও সেভলন ধ্বংস করা হয়। সতর্ক করা হয় মালিককে।
এছাড়া মৃত্যুঞ্জয় ঔষধালয়কে অনুমোদনহীন বাতের ওষুধ তৈরি, বিক্রি ও বাজারজাত করার দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় বিপুল পরিমাণ ওষুধ জব্দ করে তাদেরকেও সতর্ক করা হয়।
এদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালীব চৌধুরী জয়নিউজকে বলেন, জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে আজকে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু লেভেলহীন কেমিক্যাল জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক কামরুল মো. হাসান।