‘আরও ২-৩ বছর করোনাভাইরাস থাকবে’- স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের এমন বক্তব্যের পর সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়েছে। খোদ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও এ নিয়ে কথা বলেছেন।
তবে শুক্রবার (১৯ জুন) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ডা. আজাদ দাবি করেছেন, তার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং অনেকে না জেনেই সমালোচনা করছেন। এ বক্তব্যে তিনি একটিবারও করোনাভাইরাস বাংলাদেশে দুই-তিন বছর থাকবে বলেননি।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যের ডিজির বক্তব্যকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বললেন কাদের
তাঁর দাবি, ‘আমি বলেছি- বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা এবং বিশ্বের স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি সারাবিশ্বে এক, দুই বা তিন মাসে শেষ হচ্ছে না। একটি সফল টিকা আবিষ্কার এবং পর্যাপ্ত জনগোষ্ঠীর মধ্যে সফল প্রয়োগ না হওয়া পর্যন্ত দেশগুলোতে করোনার অস্তিত্ব থাকবে। ফলে এটি এক বছরের বেশি এমনকি দুই বা তিন বছর বা আরও বেশি সময় স্থায়ী হতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশে দুই-তিন বছর করোনা থাকবে, বললেন স্বাস্থ্যের ডিজি
যদিও আমরা মনে করি, সংক্রমণের মাত্রা অনেক হ্রাস পাবে। বাংলাদেশ একটি জনবহুল ও অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। অপরপক্ষে করোনাভাইরাসও একটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে ভাইরাস। এ কারণে অসতর্ক চলাফেরা এবং স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে না চললে দেশে সংক্রমণের হার মোকাবিলা করা কঠিন।
বিশ্বব্যাপী অভিজ্ঞতা এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কিছুকাল পরে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের উচ্চ হার কমে আসতে পারে। কিন্তু করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ালে অনেক লুকায়িত এবং মৃদু কেইসও শনাক্ত হবে। সেক্ষেত্রে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যায় পরিবর্তন দৃষ্টিগোচর নাও হতে পারে।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাজে প্রধানমন্ত্রীর অসন্তোষ
ডা. আজাদ তার বক্তব্য ভুলভাবে না বোঝার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। একইসঙ্গে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু প্রতিরোধে সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে সহযোগিতার মানসিকতায় এগিয়ে আসার কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাদেশ থেকে করোনাভাইরাস সহসাই যাচ্ছে না। এটি আরও ২-৩ বছর থাকতে পারে।