রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় চলছে লকডাউন। এই এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা ৮০ জন তরুণকে পড়তে হচ্ছে অযৌক্তিক আর বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার সামনে। লকডাউনে থাকা জনগণ থেকে তাদের কখনো বলা হচ্ছে ফেয়ার এন্ড লাভলি এনে দিতে, আবার কখনোবা জদ্দা। তবে এসবেও সন্তুষ্ট নয় ওই এলাকার মানুষ, এবার স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে চাওয়া হয়েছে নেশা জাতীয় দ্রব্য।
এখানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন বেসরকারি চাকরিজীবী বাপ্পি। অফিস থেকে এক মাসের ছুটি নিয়ে লকডাউন হওয়া রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় কাজ করছেন তিনি। বিভিন্ন সেবার জন্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষে আবেদন আসা মাত্রই ছুটে যাচ্ছেন সাহায্যের জন্য। তার মতো এমন আরো ৮০ জন উদ্যমী তরুণ দিনরাত এক করে কাজ করছেন এখানে।
রাত ১২টা, ১টা কিংবা গভীর রাতে ফোন, কোমল পানীয়, ব্রয়লার মুরগী কিংবা রং ফর্সা করা ক্রিমের মতো উদ্ভট আবেদনের পর এবার দিনে দুপুরে মদের জন্য মোবাইলে আবেদন লকডাউনে থাকা জনৈক এক ব্যক্তির।
মদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মোবাইল ফোনের অপর প্রান্ত থেকে ওই ব্যক্তি বলেন, আমি মদ খাই, তাই আমার কাছে বৈধ মনে হচ্ছে।
লকডাউন কার্যকরে স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় জনগণের সহযোগিতার বিকল্প নেই বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তবে স্বেচ্ছাশ্রম দিতে আসা মানুষগুলো নানা অযৌক্তিক এবং অবাস্তব চাহিদার কাছে বিব্রত।
তবে এসব বিব্রতকর পরিস্থিতির মাধ্যমে মহতি উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এ ধরনের কাজ করা হচ্ছে বলে মনে করেন স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ক।
স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ক মাসুদ হোসেন সুমন বলেন, আমরা তাদের কোনো চাহিদাকে অযৌক্তিক বলবো না। তারা চিন্তা করুক, যেটা চাচ্ছে সেটা তাদের এখন প্রয়োজন কি-না।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ রোধে গত ১০ জুন থেকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার এলাকা লকডাউন ঘোষণা করা হয়।