যৌতুক দেওয়া কিংবা নেওয়া দুটোই অপরাধ। কিন্তু আমাদের দেশে যৌতুক নেওয়া যেন এক সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। যৌতুকের কারণে কত সহস্র সংসার ভাঙছে তার হিসাব অজানা।
এদিকে নবদম্পতির সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য অনেক কনের পরিবার স্বেচ্ছায় যৌতুক দেয়। এ নিয়ে ভারতের ছত্রিশগড় রাজ্যের জগিনগর গ্রামের অধিবাসীদের মধ্যে প্রচলিত আছে এক অদ্ভুত প্রথা।
জানা গেছে, এখানকার পিতারা তাদের কন্যার বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে দেন ২১ ধরনের বিষধর সাপ! বিশ্বের কাছে এটি অবাক ঠেকলেও জগিনগরের মানুষের কাছে কিন্তু এটাই স্বাভাবিক।
শুধু যৌতুক হিসেবে নয়, ‘সাপ’ জগিনগরের মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িত। এখানকার মানুষেরা সাপের চাষ করে, সাপ খেলা দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করে। এখানে প্রতিটি পরিবারে সন্তান স্নেহে লালিত হয় সাপ।
সাপকে ভক্তিভরে পূজাও করে জগিনগরের মানুষ। এখানে সাপকে দেখা হয় নাগা দেবতার প্রতীক হিসেবে। তাই এই গ্রামে সাপ মারার চিন্তাও কেউ করতে পারেন না।
জগিনগরের মানুষের কাছে সাপ একদিকে গৃহপালিত জীব, অন্যদিকে আরাধনার উপাদান। আর তাই প্রিয় কন্যার বিয়ের সময় পিতারা প্রিয় সাপকেই তুলে দেন যৌতুক হিসেবে।