সৌদি আরবে যারা অবস্থান করছেন শুধুমাত্র তারাই এবারের হজে অংশ নিতে পারবেন। অন্যান্য দেশের কেউ অংশ নিতে পারবেন না। করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার কারণেই এমন সিদ্বান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে যারা এ বছর হজের জন্য টাকা জমা দিয়ে প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন, তাদের নিবন্ধন আগামী বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের জন্য গণ্য হবে। তবে কেউ চাইলে নিবন্ধনের টাকা ফেরত নিতে পারবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম সচিব।
ধর্ম সচিব মো. নুরুল ইসলাম বলেন, আগামী মাসের ১২ তারিখ থেকে হজের টাকা ফেরত নেওয়ার আবেদন করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে টাকা ফেরত নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হজ নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে।
টাকা তোলার বিষয়ে ধর্ম সচিব বলেন, কেউ যদি হজের জন্য জমা দেওয়া টাকা তুলতে চায়, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। পরবর্তীতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলে ব্যাংকে কিংবা এজেন্সির মাধ্যমে টাকা ফেরত পাওয়া যাবে।
এ প্রসঙ্গে হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, যারা আল্লাহর ঘরে হজের জন্য টাকা জমা দিয়েছেন, তাদের অনেকেই টাকা তুলবেন না বলে মনে করি। তবে এ বছর হজ করতে না পারার কষ্ট অনেককেই তাড়া করবে। আর যারা হজের টাকা তুলে ফেলবেন তাদের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। পরবর্তীতে আবার নতুন করে নিবন্ধন করতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের সিরিয়ালও পিছিয়ে পড়বে।
প্রসঙ্গত, সৌদি-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক হজ চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ হজযাত্রীর হজে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে চূড়ান্ত নিবন্ধন করেছিলেন ৬৪ হাজার ৫৯৯ জন হজযাত্রী। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৪৫৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়ার কথা ছিলো ৬১ হাজার ১২৪ জনের।