ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে গ্রাহকদের ২ লাখ টাকা ফেরত দিতে আইন করতে যাচ্ছে সরকার। প্রস্তাবিত আইন অধিকতর যাচাই-বাছাই ও সংশ্লিষ্টদের অভিমত পর্যালোচনার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। চলতি বছরেই এই আইন কার্যকরের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ২০১৯ সালের জুলাইয়ে পিপলস লিজিং নামে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। তবে দেশে এখনো কোনো ব্যাংক বন্ধ হয়নি। ব্যাংকের নাম ও মালিকানা পরিবর্তনের ঘটনা ঘটেছে। তবু আমানত সুরক্ষা আইনের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা অবশ্যই সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।
তিনি আরো বলেন, প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে— কোনো ব্যাংক বন্ধ হলে ছোট-বড় সব আমানতকারী বিমার আওতায় প্রথম ছয় মাসের মধ্যে ১ লাখ টাকা করে পাবেন। যার ১০ হাজার টাকা জমা আছে, তিনিও লাখ টাকা পাবেন। কিন্তু এবার টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে ২ লাখ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, আর বাড়তি আমানতকারীদের প্রাপ্য টাকা সর্বোচ্চ ১৮০ দিনের মধ্যে বিমা ট্রাস্ট তহবিল থেকে পরিশোধ করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংক বন্ধ হলে আমানতকারীদের দায় পরিশোধের প্রচলিত বিধান অনুযায়ী, গ্রাহকদের রাখা মোট আমানতের ১৯ শতাংশ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখতে হয়। ব্যাংক যে ঋণ বিতরণ করে, তাও ফেরত পাওয়া যায়। ফলে কোনো ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেলেও তার যত টাকা থাকবে, তা দিয়ে আমানতকারীদের দায় শোধ করা যাবে।
জানতে চাইলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জাফর ইকবাল বলেন, আমানত সুরক্ষা আইনের সংশোধনীতে নতুন যেসব প্রস্তাবনা এসেছে, তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এই আইন কার্যকরের পর এই সংক্রান্ত আগের আইনগুলো অকার্যকর বল গণ্য হবে।