জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী বলেন, এতোদিন অসহায় ও ভূমিহীন মানুষ পেয়েছেন থাকার ঘর। এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় পটিয়াতে মানুষের পাশাপাশি ছাগলও পেয়েছে থাকার ঘর।
পটিয়ায় মাচা পদ্ধতিতে ছাগল পালনে উৎসাহিত করতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় পাঁচজন ছাগল পালনকারী খামারিদের ছাগলের ঘর বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সোমবার (৬ জুলাই) একইসঙ্গে ভিটামিনসহ অন্যান্য উপকরণও তিনি বিতরণ করেন।
এসময় হুইপ বলেন, ছাগল পালন একটি লাভজনক পেশা। এটা গরীবের গাভী বলেও পরিচিত। স্বল্প আয়ের মানুষ কিংবা অল্প বিনিয়োগে সক্ষম ব্যক্তিরা অল্প জায়গায় খুব সহজেই ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী হতে পারেন। ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল আমাদের দেশের নিজস্ব জাত। এ জাতের ছাগলের মাংস সুস্বাদু এবং চামড়া উন্নতমানের হওয়ায় দেশে-বিদেশে সমানভাবে জনপ্রিয়। ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল কষ্ট সহিষ্ণু, দ্রুত বর্ধনশীল এবং বছরে দুইবার বাচ্চা দেয়। প্রতিবারে এই ছাগল দুই বা ততোধিক বাচ্চা দেয় এবং দ্রুত বাজারজাতকরণের উপযোগী হয় বলে এ জাতের ছাগল পালন লাভজনক। তিনি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
পরে তিনি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের উদ্যোগে গবাদিপশুর টিকা প্রদান কর্মসূচি এবং প্রাণী স্বাস্থ্যসেবা কার্ড বিতরণের পাইলট কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পটিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. জপু চক্রবর্ত্তী, হুইপের প্রতিনিধি মুহাম্মদ ছৈয়দ, পটিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলমগীর আলম, সাধারণ সম্পাদক এমএনএ নাছির, পটিয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রণব দাশ, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিল খুরশেদ গণি, যুবলীগ নেতা এনাম মজুমদার ও উপজেলা ভ্যাটেনারি সার্জন সুব্রত সরকার।