মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজে এবং তার নেতৃত্বে দলের নেতৃবৃন্দসহ পুরো বিএনপিই এখন হোম আইসোলেশনে। হঠাৎ হঠাৎ টেলিভিশনে উঁকি দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা ছাড়া বিএনপির আর কোনো কাজ নেই। এমনটাই দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘করোনা মোকাবিলা করা এমন কঠিন কিছু ছিল না’- এ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্যে মনে হয় সারা দুনিয়ায় সবদেশের ক্ষেত্রেই করোনা মোকাবিলা এমন কঠিন কিছু ছিল না, অথচ উন্নত দেশগুলোসহ পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ মানুষ করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে। যারা জনগণের পাশে নেই, জনগণের জন্য কিছু করছেন না, হঠাৎ হঠাৎ টেলিভিশনে উঁকি দিয়ে এ ধরণের কথা বলা তাদেরই মানায়। দায়িত্বপূর্ণ জায়গা থেকে এ ধরণের কথা বলা সমীচীন নয়।
বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভীর মন্তব্য ‘মানুষের মুখ বন্ধ রাখতে সরকার মামলা করছে’- এর জবাবে ড. হাছান বলেন, সরকার কারো বিরুদ্ধে মামলা করেনি। সাম্প্রতিক সময়ে যে সমস্ত মামলা হয়েছে, সবগুলোই বিভিন্ন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি করেছেন। বিএনপির নেতারা জনগণ এবং সরকার দুটিই গুলিয়ে ফেলছেন। জনগণের কেউ যদি সংক্ষুব্ধ হন, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তিনি তার সুরক্ষার জন্য যেকোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রাখেন।
রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান শাহেদের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারই কিন্তু তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এরপর তার ব্যাপারে পত্র-পত্রিকায় যে অনুসন্ধানী রিপোর্টগুলো বেরিয়েছে সেজন্য গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ। এতে প্রমাণিত হয়, সে খুব সুচতুর একজন প্রতারক। এরকম আরো প্রতারক যারা আছে, আমাদের সম্মিলিতভাবে তাদেরকে খুঁজে বের করা প্রয়োজন।
শাহেদ আওয়ামী লীগের সদস্য কি-না এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সে দাবি করছে, সে আওয়ামী লীগের কোনো একটা উপ-কমিটিতে ছিল। কিন্তু আমাদের দলীয় কার্যালয়ে তো আমি প্রতিদিন যাই। সে আওয়ামী লীগের কোনো উপ-কমিটির সদস্য ছিল বলে আমার জানা নেই।