আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১১ জুলাই) ভোরে অভিযান চালিয়ে নগরের জুবিলী রোড, আকবরশাহ ও জোরারগঞ্জ থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সিএমপি’র কোতোয়ালি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার নোবেল চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তার ৭ জন দীর্ঘদিন ধরে নগর ও চট্টগ্রাম বিভাগের অন্যান্য জেলা শহর থেকে মোটরসাইকেল চুরি করতো। তাদের সঙ্গে থাকা বিশেষ চাবি দিয়ে গাড়ির তালা ভেঙ্গে কৌশলে তারা এ কাজটি করে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- জোরারগঞ্জ থানার বারৈয়ারহাট এলাকার মধ্যম আজমনগর দর্জি বাড়ির মো. আলফাসের ছেলে মেহেদী হাসান হৃদয় ওরপে নয়ন (২২), ২নং মরগাং ইউনিয়নের দানেশ ভূঁইয়া বাড়ির সুলতান আহম্মদ ওরপে রূপধনের ছেলে মিজানুর রহমান ওরপে সম্রাট (২৫), ৭নং কাঁটাছড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড দরবেশ আলী চকিদার বাড়ীর মনির আহম্মদের ছেলে বেলায়েত হোসেন বাদশা ওরপে বেলাল (২২), করেরহাট গানিয়াতুল উলুম হোসেনিয়া আলীম মাদরাসা এলাকার শিবু দেবনাথের ছেলে অনিক দেবনাথ (২১), রঘুনাথপুরের মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেন বাড়ির মৃত আমির হোসেনের ছেলে রেজাউল করিম বাচ্চু (৪৫), উত্তর দূর্গাপুরের হাজী আলী আকবর মিস্ত্রী বাড়ির মৃত কবির হোসেনের ছেলে মো. আসাদুজ্জামান (৩০), পটিয়ার হাইদগাঁও গ্রামের বড়বাড়ির কৃষ্ণ বণিকের ছেলে সমীর কান্তি বণিক (২৮)।
এদের মধ্যে রেজাউল করিম বাচ্চুকে জোরারগঞ্জ থানার পূর্ব দূর্গাপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি থেকে ৩টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার এসআই সজল কান্তি দাশ বলেন, অভিযানে চারটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিরা চোরাইকৃত মোটরসাইকেল প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকায় তাদের সংঘবদ্ধ সদস্যের মাধ্যমে বিক্রয় করে। এ জন্য বিভিন্ন সময় জাল কাগজপত্র তৈরি করে তারা। এরপর ভুয়া নম্বরপ্লেট ব্যবহার করে তারা মানুষের কাছে পুরাতন মোটরসাইকেল বলে বিক্রি করে।
‘শুক্রবার সাড়ে ৫টার দিকে কোতোয়ালি থানার জুবিলী রোড এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য মেহেদী হাসান হৃদয় ও সমীর কান্তি বণিককে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের সহযোগীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। তারপর মেহেদী হাসান হৃদয় থেকে একটি মোটরসাইকেল খোলার বিশেষ চাবি উদ্ধার করা হয়।’
পরে আসামিদের নিয়ে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ১০টার দিকে আকবরশাহ সলিমপুর এলাকা থেকে মিজানুর রহমান সম্রাট ও বেলায়েত হোসেন বাদশাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য মতে অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে জোরারগঞ্জ থানায় মাদকসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।