প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা কমেছে চট্টগ্রামে। এর ফলে কমেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ৪২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৬১ জন নগরের ও ৪৪ জন বিভিন্ন উপজেলার।
চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৪৯০ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নগরে একজন ও উপজেলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মারা গেছেন ২১৬ জন। একইসময়ে ৩৭ জনসহ এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩৫৫ জন।
রোববার (১২ জুলাই) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জয়নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, শনিবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১০২ জনের নমুনায় ৪৩ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে নগরের ১৮ জন ও বিভিন্ন উপজেলার ২৫ জন।
বিআইটিআইডিতে ১১৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২০ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৩ জন নগরের ও ৭ জন উপজেলা পর্যায়ের বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৪ জনের করোনা মিলেছে। এর মধ্যে ১০ জন নগরের ও ৪ জন উপজেলার বাসিন্দা।
এছাড়া চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটির (সিভাসু) ল্যাব, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাব ও বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের কারও নমুনা পরীক্ষা হয়নি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
তিনি বলেন, সিভাসু-ইম্পেরিয়াল ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়নি। ইম্পেরিয়াল ল্যাব প্রতি সপ্তাহে একদিন বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। সে হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় বন্ধ ছিল। আর চট্টগ্রামে নমুনা কমে গেছে। মানুষ আগের মতো নমুনা দিতে আসছেন না। তবে এখানে নমুনা জট নেই।
এদিকে শেভরণ ল্যাবে ১২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ২০ জন নগরের ও ৮ জন উপজেলার বাসিন্দা।
উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সাতকানিয়ার ১, আনোয়ারার ১, পটিয়ার ১, বোয়ালখালীর ১, রাঙ্গুনিয়ার ১, রাউজানের ১, ফটিকছড়ির ১, হাটহাজারীর ২৫, সন্দ্বীপে ৩, মিরসরাইয়ের ৬ ও সীতাকুণ্ডের ৩ জন রয়েছেন।