নিজের সামাজিক অবস্থান ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে সুসম্পর্ককে ব্যবহার করে প্রতারণা করতেন জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর কিংবা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে প্রভাব খাটিয়ে সরকারি কাজ বাগিয়ে নেওয়ার কথা রিমান্ডে স্বীকার করেছেন তিনি।
শনিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জাননা।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় দফা রিমান্ডে সাবরিনা স্বাস্থ্য খাতে কোন ধরনের প্রতারণা বা অনিয়ম করেছেন তা বিস্তারিত বলেছেন। প্রতারণার জন্য তিনি নিজের সামাজিক অবস্থানকে বেশি ব্যবহার করেছেন। সবকিছুই করেছেন জেকেজি হেলথকেয়ারের জন্য। এটা তিনি কোনোভাবেই করতে পারেন না। কেননা, তিনি একজন সরকারি চিকিৎসক।
জিজ্ঞাসাবাদে সাবরিনা গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, তিনি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার হলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে ছিল তার অবাধ বিচরণ। এসব স্থানে তিনি বিভিন্ন সময় প্রভাব খাটিয়ে চলাফেরা করতেন। স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন কাজ বাগিয়ে নিয়েছেন। এ জন্য তিনি মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর কিংবা হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ব্যবহার করেছেন। সাবরিনা কখনো ডাক্তার, প্রভাবশালী ব্যক্তি কিংবা হাসপাতালের কর্তা ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় দিতেন।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, সাবরিনা স্বাস্থ্য খাতের বেশ কয়েকজনের নামও বলেছেন, যাদের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক। তাদের মাধ্যমে জেকেজির জন্য করোনার নমুনা সংগ্রহের অনুমোদন নিয়েছেন। তদন্তে নিশ্চিত হয়েই তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগ আছে, করোনা প্রাদুর্ভাবের পর জেকেজি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। তবে নমুনার পরীক্ষা না করেই ভুয়া করোনা সনদ দিতো সংস্থাটি। ১৫ হাজার ৪৮০টি সনদ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরী। ১২ জুলাই সাবরিনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।