বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরীকে ‘হত্যা’ করতে তার বাসায় গেছে একদল যুবক। শনিবার (১৮ জুলাই) রাতে চকবাজার থানায় করা জিডিতে এ অভিযোগ করেন তিনি।
জিডির সূত্র ধরে সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চকবাজার থানার ওসি নিজাম উদ্দীন।
জিডিতে ডা. ফয়সাল ইকবাল উল্লেখ করেন, ‘অদ্য (শনিবার) সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটের সময় ৭/৮টা মোটরসাইকেল করে ২০/২২ জন সন্ত্রাসী আমার (মেহেদীবাগ) বসবাসরত ফ্ল্যাটের নিচে এসে কর্তব্যরত দারোয়ানকে আমার আমার গাড়ি কোনটা? আমি কোথায় বলে অকথ্য বাসায় গালিগালাজ করে। আমাকে খুন করে ফেলবে বলে চিৎকার করতে থাকে। দারোয়ান আমি গাড়ি নিয়ে বের হয়ে গেছি বলার পর চট্টগ্রাম মেডিকেলে গিয়ে খুন করবে বলে হুমকি প্রদান করে। পরে আমার নাম ধরে গালিগালাজ করে হত্যার হুমকি দিয়ে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার পর আমার স্ত্রী ফোন করে আমাকে বিষয়টি জানান। এমতাবস্থায় আমি আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
এ বিষয়ে ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী বলেন, ৭/৮টি মোটরসাইকেলে প্রতিটিতে তিনজন করে সন্ত্রাসীরা আমার বাসার নীচে আসে। তারা আমাকে না পেয়ে দারোয়ানকে হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চটেশ্বরী রোডে মেডিকেল হোস্টেলের বিপরীতে তিনটি চায়ের দোকানিদের শাসায়। ওইসব দোকানে মেডিকেলের ছাত্ররা বসলে দোকান গুড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয় তারা। পরে তারা বাদশা মিয়া সড়ক হয়ে গোলপাহাড়, জিইসির মোড় হয়ে ২ নম্বর গেটের দিকে চলে যায়।
যারা মেডিকেলের পরিবেশকে অশান্ত করতে চায়। চিকিৎসক সমাজকে জনগণের মুখোমুখি করে করোনার দুর্যোগেও চিকিৎসা বন্ধ রাখতে চায়, তারাই আমার বাসায় গিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে এসেছে। আমি বিষয়টি নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, বিএমএ, স্বাচিপের নেতৃবৃন্দকে জানায়েছি। এখন তারাই সিদ্ধান্ত নিবে একজন চিকিৎসক নেতার নিরাপত্তার স্বার্থে কি করতে হবে।- বলেন তিনি।
চকবাজার থানার ওসি নিজাম উদ্দীন বলেন, সিসিটিভির ফুটেজে ৬/৭টা মোটরসাইকেলে করে বেশ কিছু যুবক ডা. ফয়সাল ইকবালেকে বাসায় খুঁজতে যাওয়ার বিষয়টি দেখে গেছে। উনার জিডির সূত্র ধরেই তদন্ত করে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।