রাঙ্গুনিয়ার পোমরা ইউনিয়নে লাঠির আঘাতে মো. বেলাল ওরফে সুজন (২৬) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত সুজন হাজীপাড়ার পেতাগাজী বাড়ির ইউছুপ মিস্ত্রির ছেলে।
জানা গেছে, মো. জাসেদ নামের এক নির্মাণ শ্রমিক পেছন থেকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু ঘটে।
সোমবার (২০ জুলাই) সকালে ওই ইউনিয়নের হাজীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় আমীর হামজা জয়নিউজকে বলেন, নিহত সুজনের বাবা ইউসুফ মিস্ত্রি নির্মাণ ঠিকাদার। তিনি গ্রামে বিভিন্ন পাকাবাড়ি নির্মাণের ঠিকাদারি কাজ করেন। তার সঙ্গে সহকারী হিসেবে কাজ করতেন মো. জাসেদ। বাবার সঙ্গে কাজে না গিয়ে চায়ের দোকানে জাসেদকে অহেতুক আড্ডা দিতে দেখে সুজন বকাঝকা করেন। এর জেরে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হলে জাসেদকে থাপ্পড় দেন সুজন। কিছুক্ষণ পর পেরেকযুক্ত একটি লাঠি দিয়ে চায়ের দোকানে বসা সুজনকে পেছন থেকে সজোরে আঘাত করে পালিয়ে যায় জাসেদ।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত সুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে।
এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ।
রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মাহাবুব মিল্কি জয়নিউজকে বলেন, নিহত মো. সুজন হাজীপাড়ার পেতাগাজী বাড়ির ইউছুপ মিস্ত্রির ছেলে। আর খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত মো. জাসেদ একই এলাকার শামসুর রহমানের ছেলে।
ওসি আরো বলেন, তাদের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে খুনের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। খুনি জাসেদকে ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।