চট্টগ্রামে ভূমিধসের শঙ্কা, নিরাপদে যেতে মাইকিং

চট্টগ্রামে ভারী বর্ষণে ভূমিধসের শঙ্কায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত লোকজনকে সরে যেতে মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন। এছাড়া ‘মৃত্যুঝুঁকি’ নিয়ে বাস করা এসব লোকজনের জন্য নগরের বিভিন্ন এলাকায় চালু করা হয়েছে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র, প্রস্তুত রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রীও।

- Advertisement -

মঙ্গলবার (২১ জুলাই) সকাল থেকে নগরের সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত লোকজনকে সরে যেতে মাইকিং কার্যক্রম শুরু হয়। এসব লোকজনকে সরিয়ে নিতে ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং সরকারি সংস্থার নিয়ন্ত্রণাধীন পাহাড়গুলোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

- Advertisement -google news follower

মতিঝর্ণা, বাটালি হিল, একে খান পাহাড়, ট্যাংকির পাহাড়, আমিন জুট মিলস এলাকা, রউফাবাদ, খুলশী, পাহাড়তলি, ফয়েজ লেক, আকবর শাহ এলাকার ঝিল-১,২,৩ নং এলাকা, জিয়ানগর, মধ্যমনগর, মুজিব নগর, শান্তিনগর এলাকা, কৈবল্যধাম বিশ্বকলোনী এলাকা, ফিরোজ শাহ এলাকা, বায়েজিদ-ফৌজদারহাট সিডিএ লিংক রোড এলাকায় মাইকিং কার্যক্রম চালানো হয়।

জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরিয়ে নেওয়া লোকজনকে যাতে অসুবিধায় পড়তে না হয়, সে জন্য চান্দগাঁও, বাকলিয়া, আগ্রাবাদ এবং কাট্টলী সার্কেলাধীন এলাকায় মোট ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আশ্রয়কেন্দ্রে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে সেটা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

- Advertisement -islamibank

নগরের ৬টি সার্কেলের দায়িত্ব প্রাপ্ত ৬ জন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার সমন্বয়ে এসব আশ্রয়কেন্দ্রের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সেখানে আশ্রয় নিতে আসা লোকজনের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির মজুদ রাখা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলামকে জানান, ভারী বর্ষণে পাহাড়ধসের শঙ্কা থাকায় লোকজনকে সরিয়ে নিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। লোকজনকে সরে যেতে মাইকিং করার পাশাপাশি তারা যাতে আশ্রয় নিয়ে থাকতে পারে এ জন্য ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু এবং পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

কোনো লোক ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ে বাস করতে পারবে না। তাদের আশ্রয়কেন্দ্র অথবা আত্মীয়-স্বজনের বাসায় চলে আসতে হবে। রাতে কেউ যাতে পাহাড়ে থাকতে না পারে- এ জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর, পাহাড়ের মালিক বা তদারকি সংস্থাকে আমরা অনুরোধ জানিয়েছি। প্রয়োজনে আমারা অভিযান পরিচালনা করবো।- বলেন তিনি।

জয়নিউজ/এসআই
KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM