মহাপরিচালকের পদত্যাগ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (২২ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে পদত্যাগ করায় ধন্যবাদ জানাই। কারণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়ে জনমনে অনেক অসন্তুষ্টি তৈরি হয়েছিল, বিশেষ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে। সেই প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি তার পদত্যাগ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজানোর ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।
বন্যা নিয়ে বিএনপি নেতাদের বিরূপ মন্তব্যের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, বন্যার পানি কি বাংলাদেশে এই প্রথম এলো? দেশে তো প্রতি বছরই বন্যা হয়, ঢাকা শহরেও প্রতিবছর পানি ওঠে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল যখন বুঝি বন্যা হয় নাই?
তিনি বলেন, অবান্তর কথা বলা বিএনপির অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, অবান্তর কথা না বলে তারা বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ালে বরং জনগণ উপকৃত হবে।
নামসর্বস্ব পত্রিকা ও সাংবাদিক নামধারীদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে কি-না, এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এদেশের সাংবাদিকদের অত্যন্ত মেধাবী ও প্রাজ্ঞ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, তাদের রিপোর্টিং সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দিতে পারে, ভাষাহীনকে ভাষা দিতে ও ক্ষমতাহীনকে ক্ষমতাবান করতে পারে, যা অনেক সাংবাদিক নিষ্ঠার সঙ্গে করে আসছেন।
একইসঙ্গে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, কিছু সাংবাদিক পরিচয়ধারী, যারা আসলে সাংবাদিক নয়, তাদের কারণে পুরো সাংবাদিক সমাজের বদনাম হতে পারে না। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি, যেখানে সাংবাদিক ভাইদের, সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোর এবং সাংবাদিকদের অন্যান্য সংগঠনগুলোসহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। যেহেতু এই অব্যবস্থা একদিনে হয়নি, দশকের পর দশক হয়ে আসছে, এটি ঠিক করতেও কিছুটা সময় লাগবে।