গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৩ হাজার ৭৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকার সাতটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেন।
সভা শেষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, আজকের একনেকের সভায় ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন’ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৩৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে নতুন করে স্থাপন করা হবে পাঁচ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব। এর মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আইসিটিতে দক্ষতা বাড়ানো হবে। সেইসঙ্গে অত্যাধুনিক আইসিটি সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত স্কুল অব ফিউচার নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় কনটেন্ট তৈরি সম্ভব হবে।
এছাড়া ৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘রাজশাহী মহানগরীতে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার পুনর্বাসন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ‘খুলনা পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন’প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৩৩৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। ৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘তুলার গবেষণা উন্নয়ন ও প্রযুক্তি হস্তান্তর’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অনুমোদন পাওয়া ‘মেহেরপুর মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন’ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। একনেক সভায় ‘ইনকাম সাপোর্ট প্রোগ্রাম ফর দ্য পুওরেস্ট’ প্রকল্প থেকে ৪৬০ কোটি টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পে ১২৫ কোটি টাকা কমিয়ে ৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা করা হয়েছে।
একনেক সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাবুদ্দিন ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
এছাড়া পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান গণভবন থেকে একনেক সভায় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সাত প্রকল্পে সরকারি অর্থায়নে ব্যয় করা হবে ২ হাজার ১৩২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। আর বৈদেশিক সাহায্য ৯৪২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।