কেউ মাস্ক পরেছেন, আবার অনেকে পরেননি। কেউ আবার মুখ থেকে সরিয়ে থুঁতনিতে রেখে দিয়েছেন। সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো চিহ্নই নেই চট্টগ্রাম-নাজিরহাট রেল লাইনের উপর বসানো এক ইজারাদারের দুই পশুর হাটে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে হাঁকডাক দিয়ে পশুরহাটে চলছে কেনা-বেচা। এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তাছাড়া পশুরহাটে নেই ভেটেরিনারি চিকিৎসক ও পর্যবেক্ষক টিম এবং পশু রোগনির্ণয় করার ব্যবস্থা। তাই পরীক্ষা ছাড়াই পশু বাজারে এনেছেন বিক্রেতারা। ক্রেতা তার কেনা পশুটি রোগমুক্ত কি-না পরীক্ষা করে দেখার সুযোগ পাচ্ছে না। ফলে হাটগুলোতে পশু পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই চলছে কেনা-বেচা। তারমধ্যে ইজারাদারদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত হাসিল আদায়সহ ক্রেতাসাধারণের রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ইজারাদাররা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আঁতাত করে হাটহাজারী রেলস্টেশন ও মিরেরহাটে রেল লাইনে বসানো পশুরহাটে প্রতিদিন ৫ থেকে ২০ হাজার মানুষের সমাগম হচ্ছে। তবে অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতা কারো মুখেই মাস্ক নেই। এরমধ্যে গরু-ছাগল-মহিষ আর মানুষে গাদাগাদি করে চলছে কেনা-বেচা। সামাজিক দূরত্ব মানার বিষয়ে সবাই উদাসীন।
এদিকে এক বছরের ব্যবধানে পৌরসভার দুই বাজারের ইজারা ৬১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১৬ লাখ কমে এ বছর ৪৫ লাখ ২১ হাজার টাকায় ইজারা নিলেও কমেনি হাসিল। ইজারাদাররা প্রতিটি বিক্রিত গরু-মহিষ থেকে ১ হাজার-২ হাজার টাকা পর্যন্ত হাসিল নিচ্ছে। অথচ গত বছর আদায় করেছে ৬শ’ থেকে ১ হাজার টাকা। এছাড়া ইজারাদাররা করোনা ইস্যুকে পুঁজি করে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে হাসিলমুক্ত বাজার উপজেলার চৌধুরী হাট রেলস্টেশনসহ বেশ কয়েকটি পশুরহাট বন্ধ রেখেছিল।
এসব অনিয়ম ও কম দামে ইজারা নেওয়ার পর কেন অতিরিক্ত হাসিল আদায় করা হচ্ছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ইজারাদার সিন্ডিকেটের অন্যতম আবু তৈয়ব নামে এক ইজারাদার খুব বেশি ব্যস্ত আছেন বলে জানিয়ে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমীন জয়নিউজকে বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে চলতি বছর কম মূল্যে তাদেরকে বাজার ইজারা দেওয়া হয়েছে। পরের বছর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। হাসিল বেশি আদায়ের সুয়োগে নেই। বেশি নিলে তাদেরকে জরিমানা করা হবে, নয়তো বাজার বন্ধ করে দেওয়া হবে।