গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রথম দফায় দেশের ৫০টি অনলাইন গণমাধ্যমকে নিবন্ধন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আজকে রাতে সেগুলোর তালিকা ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে।
এরপর তারা নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে ঈদের পরে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে। গোয়েন্দা রিপোর্ট না পাওয়ায় প্রথম দফায় প্রতিষ্ঠিত অনলাইনগুলোর নাম না থাকতে পারে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারাও পরে নিবন্ধন পাবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার জন্য আমরা দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে দিয়ে সবগুলো অনলাইনের তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তারা অনেকগুলো অনলাইনের ব্যাপারে রিপোর্ট দিয়েছে আমাদের কাছে। আমরা বলেছিলাম ঈদের আগে অনলাইনগুলো রেজিস্ট্রেশনের ব্যাপারে ঘোষণা দেব।
ইতোমধ্যে আমরা ৫০টি অনলাইনের ব্যাপারে পজিটিভ রিপোর্ট পেয়েছি। সেগুলো আজকে রাতে ওয়েবসাইটে আপলোড হবে। তারা নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে ঈদের পরে রেজিস্ট্রেশন করে নেবেন, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আরও অনেক অনলাইনের ব্যাপারে নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে, যাদের ব্যাপারে নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে তাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে যখন দেশ জিজিটাল হয়েছে, তখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাড়ে ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। তখন মানুষ ব্যাপকভাবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন পত্রিকাগুলো পড়ে।
কিন্তু প্রায়শ দেখতে পাই, কারো কারো, সবার ক্ষেত্রে নয়; সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পরিবেশন করার যে প্রতিযোগিতা সেটি করতে গিয়ে অনেক সময় ভুল সংবাদ পরিবেশিত হয়, অনেক সময় অসত্য সংবাদ পরিবেশিত হয়। একইসঙ্গ আমরা দেখেছি বিভিন্ন সময়ে কিছু অনলাইন পোর্টাল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গুজব-সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত হয়। অনেকের চরিত্র হনন এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়ার কাজে লিপ্ত হয়, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই তদন্ত করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যারা এগুলো করেছেন তাদের ব্যাপারে সেই ধরনের রিপোর্টই এসেছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই আমরা রেজিস্ট্রেশনের কাজ করছি।
ড. মাহমুদ আরও বলেন, ওয়েবসাইটে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠিত অনলাইনের নাম হয়তো দেখা যাবে না, তাদের ব্যাপারে রিপোর্ট নেগেটিভ তা নয় কিন্তু। এটি চলমান প্রক্রিয়া, যেহেতু তাদের ব্যাপারে আমরা এখনও রিপোর্ট পাইনি সেজন্য তাদের নামগুলো হয়তো আজকে আপলোড হবে না। প্রতিষ্ঠিত অনলাইনগুলোর ব্যাপারে রিপোর্ট এলে তারা সবাই রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে।
‘এজন্য কারো কারো নাম বাদ পড়লে হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নাই। কারণ- সাড়ে তিন হাজারের মধ্যে মাত্র ৫০টির আজকে নাম আপলোড হবে। আরো অনেকগুলো ধীরে ধীরে আপলোড হবে, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এগুলো করতে আমাদের কয়েক মাস সময় লাগবে।’
এদিকে বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করেনি দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো বিবেচনা, কোনো সুপারিশ কাজ করেনি।