চকরিয়ায় মাদক পাচারের সময় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হয়েছে। এসময় চকরিয়া থানার ওসিসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয় বলে জানা গেছে।
ঘটনাস্থল থেকে ৪৪ হাজার পিস ইয়াবা, ২টি এলজি, ৭ রাউন্ড গুলি ও ১৫ রাউন্ড ব্যবহৃত গুলির খোসা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৩১ আগস্ট) ভোরে উপজেলার বানিয়ারছড়ার আমতলী গর্জন বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) রাত সাড়ে ৩টা থেকে থেমে থেমে প্রায় একঘণ্টা ধরে পুলিশ ও মাদক কারবারিদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়। এসময় মুহুর্মুহু গুলির শব্দে ওই এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে।
পুলিশ জানায়, ইয়াবার একটি বড় চালান পাচারের সময় অভিযানে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে মাদক কারবারিরা গুলি ছোড়ে। এসময় আহত হন চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান, হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম, কনষ্টেবল সাজ্জাদ হোসেন ও মো. সবুজ। আহত পুলিশ সদস্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে বন্দুকযুদ্ধের সময় নিহত হন তিনজন ইয়াবা কারবারি। তবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান জানান, রাত দেড়টার দিকে বরইতলী নতুন রাস্তার মাথা এলাকা থেকে জাহেদা বেগম ও মোজাফ্ফর আহমদ নামের দুজন মাদক কারবারিকে ছয় হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে। পরে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, একই রাতে বানিয়ারছড়া পাহাড়ি এলাকায় ইয়াবার একটি বড় চালান হাতবদল হবে। সেই চালান এবং মাদক ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে পুলিশও অভিযান শুরু করলে এ বন্দুকযুদ্ধ বাঁধে।
এ ঘটনায় হত্যা, অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জয়নিউজ/গিয়াস/পিডি