কোরবানির ঈদে স্বপরিবারে গ্রামের বাড়িতে এসে সৈয়দ আহনাফ মোরশেদ (৩) নামে এক শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে।
শনিবার ( ১ আগস্ট) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের পূর্ব বাড়ৈকাড়া এলাকার প্রকৌশলী মোরশেদ কোরবানির ঈদ উপলক্ষে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে আসেন।
শনিবার ঈদুল আজহার নামাজ আদায় শেষে কোরবানির পশুর জবাই করে সবাই যখন মাংস কাটাকাটি নিয়ে ব্যস্ত ঠিক তখনই মোরশেদের শিশু সন্তান আহনাফ বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে যায়। তার মা খোঁজাখুজি করলে দেখতে পান শিশুটির নিথর দেহ পুকুরে ভাসতে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, তিনদিন আগে চট্টগ্রামের বাসা থেকে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে আসেন সৈয়দ মোরশেদ উল্লাহ। শনিবার সকালে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে গরু কোরবানি দিয়ে মাংস কাটায় ব্যস্ত ছিলেন মোরশেদ উল্লাহসহ পরিবারের সবাই। এ সময় ছোট ছেলে আহনাফ ঘর থেকে বের হয়। কিছুক্ষণ পর তাকে না পেয়ে সবাই খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে এলাকায় মাইকিংও করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ির পেছনের পুকুরে আহনাফকে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। শিশুটিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এরপরও শিশুটি বেঁচে আছে এমন আশায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনেরা। সেখানেও তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
এদিকে ঈদের দিন নিষ্পাপ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুতে পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রকৌশলী মোরশেদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। সৈয়দ আহনাফ সবার ছোট।
জয়নিউজ/কাউছার/বিআর