লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. বাদশাকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার বাদশা একই ইউনিয়েনের চরমনসা এলাকার মৃত আব্দুল গনি ছেলে। তিনি এলাকায় মৎস্য ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।
সোমবার (৩ আগস্ট) রাতে অভিযান চালিয়ে চরমনসা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরআগে সন্ধ্যায় ভিকটিম শিশুটিকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে বাদশার বিরুদ্ধে মামলা করেন করেন তার বাবা। এদিকে মামলা ও ঘটনার পর অভিযুক্ত বাদশা পলাতক ছিলেন। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
জানা যায়, সোমবার বিকালে শিশুটিকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে বাড়ির পাশের একটি বাগানে নিয়ে যায় বাদশা। পরে তাকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটির চিৎকারে বাগানের পাশে খেলতে থাকা অন্য শিশুরা বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় লোকজনদের জানায়। স্থানীয় লোকজন শিশুটিকে উদ্ধারে ছুটে এলে ওই ব্যক্তি পালিয়ে যান। পরে শিশুটিকে সোমবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ জানায়, চরমনসা এলাকায় ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বাদশার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলায় বাদশাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে মঙ্গলবার বিকালে জেল হাজাতে পাঠানো হয়েছে। এরআগে সোমবার বিকালে শিশুটিকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
শিশুটির মা অভিযোগ করে জয়নিউজকে বলেন, আমার মাইয়াডারে চকলেটের লোভ দেখাইয়া নির্যাতন করে বাদশা। আমার নিষ্পাপ মাইয়া ওর কী ক্ষতিহান করছিল।
শিশুটির চাচা জয়নিউজকে বলেন, মাইডারে নিয়া এহন হাসপাতালে আইছি। ডাক্তারের এহনো পরিস্কার কইরা কিছু বলে না। ভয়ের মধ্যে আছি। ঘটনার পর হাসপাতালে পুলিশ আসছিল। তাদের কাছে অভিযোগ করেছি। একাধিকবার বাদশার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার প্রতিবেশি বলেন লোকমুখে শুনেছি, বাদশা নাকি ওই মেয়েকে ধর্ষণ করে পালিয়েছেন। আমরা তার বিচার চাই।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আনোয়ার হোসেন জয়নিউজকে বলেন, ‘সন্ধ্যায় শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। শিশুটি ছোট। ধর্ষণ হয়েছে কি-না তা পরীক্ষা না করে বোঝা যাবে না।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জয়নিউজকে বলেন, শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পেয়েছি। অভিযান চালিয়ে বাদশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে আদালতের মাধ্যমে মঙ্গলবার বিকালে জেল হাজাতে পাঠানো হয়েছে।