একের পর এক কর্মকর্তাকে বদলি করছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। এবার নগরের প্রত্যেক ওয়ার্ডের সচিবদের একযোগে বদলি করা হয়েছে। এর ফলে নাগরিক সেবা থেকে নগরবাসী বঞ্চিত হবে বলে মনে করছেন সাবেক কাউন্সিলররা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমনিতেই ওয়ার্ড কাউন্সিলররা নেই, এর উপর যদি সচিবরাও নতুন হয় তবে ওয়ার্ডের কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিবে। ওয়ারিশ সার্টিফিকেট, জন্মনিবন্ধন ও জাতীয়তা সনদ দিতে সমস্যায় পড়বে নতুন সচিবরা।
তবে বদলির কারণে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন চসিক প্রশাসক। তিনি বলেন, নতুন প্রশাসক আসছে সেটা জানান দিতেই বদলি।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসকের অনুমোদনক্রমে প্রত্যেক ওয়ার্ডের সচিবদের বদলি করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রত্যেক ওয়ার্ড পাবে নতুন সচিব।
চসিকের সাবেক একাধিক কাউন্সিলর জয়নিউজকে জানান, কাউন্সিলর অফিস থেকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সনদ দেওয়া হয়। যেমন- জন্মনিবন্ধন, জাতীয়তা সনদ ও ওয়ারিশ সনদ। এসব সনদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অতীতে দেখা গেছে রোহিঙ্গারা, জঙ্গিরা বিভিন্ন নামে ভুয়া জন্মনিবন্ধন ও কাগজপত্র কৌশলে করে নিয়েছিল। এখন সেই সুযোগ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
তারা বলেন, এখন কাউন্সিলররা নেই। তার উপর নতুন সচিরা ওই ওয়ার্ডের মানুষজনকে চিনবে না। হাওয়ার উপর তাদেরকে বিভিন্ন সনদ দিতে হবে। ফলে মানুষের ভোগান্তির পাশাপাশি অনেকেই অপকর্ম করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এটি খুবই বাজে সিদ্ধান্ত হয়েছে। জানি না প্রশাসক মহোদয় কি কারণে এ সিদ্ধান্ত নিলেন।
চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন জয়নিউজকে বলেন, বদলির কারণে কোনো সমস্যা হবে না। সচিবরা মহল্লা কমিটি, স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে বিভিন্ন সনদ দিবেন। এতে আমি কোনো সমস্যা দেখছি না। বদলি একটি মেসেজ।
যে কেউ যদি অনিয়ম, দুর্নীতি করলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। যেকোনো মুহূর্তে বদলি করা হবে। আর নতুন প্রশাসক আসছে সেটার জানান দিতে এই বদলি।- যোগ করেন চসিক প্রশাসক।