ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) মহাপরিচালক বলরাম ভার্গবের জানিয়েছেন, ভারতে তৈরি সম্ভাব্য দুটি ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল প্রায় শেষ।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট)স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আইসিএমআর মহাপরিচালক জানান, সম্ভাব্য দুটি ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল প্রায় শেষ। সাধারণত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় বা চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা শেষ হতে ন্যূনতম ৬ থেকে ৯ মাস লাগে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার চাইলে জরুরি ভিত্তিতে (ইমার্জেন্সি অথোরাইজেশন) ছাড়পত্র দেয়ার কথা ভাবতে পারে।
প্রতিষেধক দুটি তৈরি করছে ভারত বায়োটেক এবং জাইডাস ক্যাডিলা। এ ছাড়া অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রিটিশ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা করছে সিরাম ইনস্টিটিউট।
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মার নেতৃত্বে চার ঘণ্টা ধরে চলে বৈঠকটি। করোনা পরিস্থিতির বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। ভার্গবের ওই মন্তব্যে অনেকেরই প্রশ্ন, সত্যিই কি ট্রায়াল সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দিয়ে দেবে সরকার?
অনেকে বলছেন, করোনায় বেহাল অর্থনীতি নিয়ে যথেষ্ট সমালোচিত মোদি সরকার। এখন ভ্যাকসিন বাজারে আসছে এমন আশ্বাস পেলে পুঁজিবাজার চাঙ্গা হবে।অক্টোবর-নভেম্বর থেকে আগামী বছরের শুরু পর্যন্ত উৎসবের মৌসুম। তার আগে কোনো ‘সুখবর’এলে বিক্রি বাড়বে, জোরদার হবে বাজার।
এসব প্রশ্ন ওঠার কারণ একটাই— তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এতে দেড় থেকে দুই হাজার মানুষের ওপর সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের প্রভাব পরীক্ষা করা হয়। খতিয়ে দেখা হয় দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবও। অনেকেরই বিস্মিত প্রতিক্রিয়া, এ তো রাশিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ।
জয়নিউজ/পিডি