নগরের অসংখ্য রাস্তার এখন বেহাল দশা। অনেক ব্যস্ত রাস্তার পিচঢালাই উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টির পানি জমে থাকা এসব গর্তে পড়ে নষ্ট হচ্ছে গাড়ি। দেখা দিচ্ছে যানজট।
নগরের বিভিন্ন অলি-গলির রাস্তার অবস্থা তো আরও খারাপ। এসব রাস্তার কোনোটির ইট-সুড়কি উঠে গেছে, আবার কোনোটিতে ছোট-বড় গর্ত। পরিস্থিতি এমন, প্রথম দেখায় মনে হতে পারে শহর নয়, যেন দূর কোনো গ্রামের চিত্র!
সরেজমিন দেখা গেছে, বারেক বিল্ডিং মাঝির ঘাট, এক্সেস রোড, পোর্ট কানেকটিং সড়ক, বহদ্দারহাট, ঈদগাহ, চকবাজারসহ নগরের প্রধান রাস্তাগুলোতে খানাখন্দ। বৃষ্টিতে এসব গর্তে জমে থাকে পানি। বৃষ্টির সময় গাড়ি চালাতে গিয়ে এসব গর্তে পড়ে প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে বাস, ট্রাক, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন গাড়ি। এতে চালকদের পাশাপাশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।
পাহাড়তলী ডিটি রোড দিয়ে প্রতিদিন শত শত অটোরিকশা ও রিকশা চলাচল করে। সড়কটির কোথাও পিচঢালাই উঠে ইট ও ইটের খোয়া বেরিয়ে এসেছে। সেই সঙ্গে পানি জমে আছে খানাখন্দে। রাস্তার পানি নিষ্কাশনের সুবিধা না থাকায় নালার পানি জমে থাকে এখানে। বৃষ্টির সময় জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করে। এ নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা মানুষদের।
ডিসি হিলের রাস্তার দুই পাশ কেটে পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে। রাতে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ- অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
রিকশাচালক রহমান আলী বলেন, চট্টগ্রাম শহরের প্রায় রাস্তা খারাপ। খানাখন্দে ভরা রাস্তায় রিকশা চালতে খুব কষ্ট হয়। আর বৃষ্টির দিনে তো কথায় নেই। ভয়ে থাকি কখন দুর্ঘটনা ঘটে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ নামে এক পথচারী বলেন, নগরের রাস্তাগুলোতে এখন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। কয়েকদিন পরপর দেখা যায়, রাস্তা খুঁড়ে। কিন্তু ঠিকমতো সেটি আর মেরামত করা হয় না। কোনোরকম মাটি ফেলেই তারা চলে যায়। আর ভোগান্তি পোহাতে হয় আমাদের। বৃষ্টি এলেই ওইসব গর্ত কাদাপানিতে ভরে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন জয়নিউজে বলেন, নগরের আলিগলিতে সরকারি সেবা সংস্থার উন্নয়নকাজের খোঁড়াখুঁড়ির কারণে আগে থেকে রাস্তাঘাট ভাঙা ছিল। আর আমার কাছে তো আলাদিনের চেরাগ নেই। যত দ্রুত সম্ভব রাস্তাগুলো সংস্কার করবো।
জয়নিউজ/পিডি