নোনা ইলিশ দিয়ে রকমারি ভর্তা কিংবা তরকারি খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। সাধারণত প্রতিবছর সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চলে এ মাছ সংরক্ষণ প্রক্রিয়া। আগে চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চল থেকে নোনা ইলিশ বেশি আসতো বাজারে। তবে নগরের পুরাতন ফিশারিঘাট ও উত্তর কাট্টলীর রানি রাসমনি ঘাট এলাকায় সাগর থেকে ইলিশ আনার পর মৎস্যজীবীরা লবণ দিয়ে ইলিশ সংরক্ষণ করছেন। ছোট-বড় আকার ভেদে বাছাই করে পরিষ্কার করে সাজিয়ে বিশেষ কায়দায় লবণ দিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়। পুরুষের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরাও এ কাজ করে থাকেন। মাছ লবণজাত হতে সময় লাগে ১৫ থেকে ২০ দিন।
সারা বছর নোনা ইলিশ সংরক্ষণ করতে চাইলে ডিপ ফ্রিজে রাখতে হয়। নোনা ইলিশ বাজারে চাহিদা ও কদর দুটোই থাকায় দামও বেশ চড়া। প্রতি কেজি নোনা ইলিশ বিক্রি হয় ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়। লাভজনক হওয়ায় অনেকেই ঝুঁকছেন এ ব্যবসায়। ইদানিংকালে নোনা ইলিশ ভারতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।
নগরের পুরাতন ফিশারিঘাট এলাকা থেকে ছবিগুলো তোলা।