বঙ্গবন্ধু হত্যায় সংশ্লিষ্টতার জন্য বিএনপিকে আগস্টের শেষদিনে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে ‘ন্যাপ ভাসানী’ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পৃথিবীর সামনে উন্নয়ন-অগ্রগতির এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। কিন্তু এখনো একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি এই উন্নয়ন-অগ্রগতির প্রধান প্রতিবন্ধক। তারা স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে রাজনীতি করেন।
স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে রাজনীতি করবে, এটি হতে পারে না— উল্লেখ করেন ড. হাছান।
তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতিতে সরকারি এবং বিরোধী দল উভয়ই হবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি যে বিএনপি দলগতভাবে শুধু স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচারণই করেছে না, স্বাধীনতাকামী-মুক্তিকামী মানুষের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণকারী গণহত্যা-নারী ধর্ষণের সঙ্গে যুক্ত জামায়াতে ইসলামী হচ্ছে বিএনপি’র প্রধান সহযোগী।
মন্ত্রী বলেন, আগস্ট মাসের শেষদিনে আমাদের প্রত্যয় হচ্ছে, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য ইতিহাসে ঠিকভাবে লেখার স্বার্থে একটি কমিশন গঠন করে জিয়াউর রহমানসহ বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে যারা কুশীলব ছিল তাদের মুখোশ উন্মোচন করা এবং যারা এখনো বেঁচে আছেন তাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো। আরেকটি প্রত্যয় হচ্ছে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত বেশ কয়েকজন আসামি এখনো পলাতক আছে, তাদের ফিরিয়ে এনে ইনশাআল্লাহ আমরা রায় কার্যকর করবো।
‘বিএনপিকে তাই আজকে আগস্টের শেষ দিনে অনুরোধ জানাবো আপনারা স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা করার যে পথ নিয়েছেন, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে ক্রমাগতভাবে যে পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছেন, এই অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসুন এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আপনাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান যে যুক্ত ছিল, সেটির জন্যও জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।’
ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ ভাসানীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি গণি মিয়া বাবুল, গণমাধ্যমকর্মী মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।