দেশজুড়ে আগামীকাল রোববার থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রয় শুরু করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
২৭৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রয় শুরু করবে বলে টিসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানোনো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী ১ অক্টোবর পর্যন্ত শুক্র ও শনিবার বাদে প্রতিদিন এ দামে পেঁয়াজ বিক্রয় করা হবে। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই কেজি করে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। এছাড়া একজন ক্রেতা চিনি ও মশুর ডাল ৫০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ২ কেজি এবং সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮০ টাকা দরে দুই লিটার থেকে পাঁচ লিটার কিনতে পারবেন।
পেঁয়াজ আমদানির প্রস্তুতির কথা জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, “আমরা খুব চেষ্টা করছি। টিসিবি বড় পরিসরে নামছে। আগামী ১৩ তারিখ থেকে টিসিবি খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রয় শুরু করবে। এবার আমরা সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করে সর্বোচ্চ পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করব।”
গত বছর এই সেপ্টেম্বরেই ভারত প্রথমে পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য বৃদ্ধি এবং পরে রপ্তানি বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের বাজারে দেখা দেয় অস্থিরতা। কেজিপ্রতি ৫০ টাকার পেঁয়াজের দাম উঠে যায় ২৫০-৩০০ টাকায়।
পরে মিয়ানমার, চীন, মিশর ও পাকিস্তান থেকে নানা রঙের পেঁয়াজ এনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে সরকার।
টিসিবি জানিয়েছে, বর্তমান করোনাভাইরাস এবং বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতিতে ঢাকায় ৪০টি, চট্টগ্রামে ১০টি, রংপুরে ৭টি, ময়মনসিংহে ৫টি, রাজশাহীতে ৫টি, খুলনায় ৫টি, বরিশালে ৫টি, সিলেটে ৫টি, বগুড়ায় ৫টি, কুমিল্লায় ৫টি, ঝিনাইদহে ৩টি ও মাদারীপুরে ৩টি করে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রয় করা হবে।
এছাড়া বাকি জেলাগুলোর (উপজেলায়সহ) প্রতিটিতে দুটি করে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রয় করা করবে টিসিবি।
টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতাভুক্ত উপজেলাগুলোতে অতিরিক্ত ৫টি ট্রাকে ও বন্যাকবলিত জেলা ও উপজেলায় (ময়মনসিংহে ৪টি, রংপুরে ৪টি, বগুড়ায় ৩টি এবং মাদারীপুরে ২টি) পরিস্থিতি বিবেচনায় অতিরিক্ত ১৩টি ট্রাকে পণ্য বিক্রয় করা হবে।
প্রতিটি ট্রাকে চিনি ৫০০-৭০০ কেজি, মশুর ডাল ৪০০-৬০০ কেজি, সয়াবিন তেল ৭০০ থেকে এক হাজার লিটার ও পেঁয়াজ ২০০ থেকে ৪০০ কেজি বরাদ্দ থাকবে বলে জানায় টিসিবি।
প্রতিদিনের পণ্য বিক্রয়ের স্থান ও ডিলারের ফোন নম্বর টিসিবির ওয়েব সাইটে ওই দিন সকাল ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে আপলোড করা হবে।