গত বছর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত। যার ফলে দেশের বাজারে পণ্যটির দাম সাধারণ মানুষের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছিল। এ বছর আবারও পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি। এর ফলে কেজিতে দাম বেড়ে গেছে ১০ টাকা করে।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিতে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, সেই পেঁয়াজ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। মূলত খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা।
হিলির কাস্টমস কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমকে সিএন্ডএফ এজেন্ট শংকর দাস বলেন, সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে অতিবৃষ্টি ও বন্যা হওয়ায় অঞ্চলগুলোতে পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। ফলে সেখানকার স্থানীয় বাজারগুলোতে পণ্যটির দাম বেড়ে গেছে। এমতাবস্থায় পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে সোমবার দুপুরে হিলি কাস্টমসকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে ভারত সরকার।
‘সেই মোতাবেক কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সিএন্ডএফকে জানায় যে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আজ থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে।’
এ সংক্রান্ত সরকারি প্রজ্ঞাপন এখনো জারি হয়নি উল্লেখ করে শংকর দাস বলেন, তবে শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি হবে। একইসঙ্গে তাদের পক্ষ থেকে এটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, পেঁয়াজ আমদানির জন্য যেসব এলসি খোলা রয়েছে এবং টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে সেগুলোর বিপরীতেও আজ থেকে কোনো ধরনের পেঁয়াজ রপ্তানি হবে না।
এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক সাইফুল ইসলাম বলেন, সিদ্ধান্তটির কথা কিছুক্ষণ আগেই জানিয়েছেন ভারতীয় রপ্তানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট। ভারত সরকার থেকেই কাস্টমসকে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে নিষেধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তাদের এ সিদ্ধান্তের কারণে আমরা এখন বিপাকের মধ্যে পড়ে গেছি। কারণ বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খোলা রয়েছে। ভারতকে বলা হয়েছে যে, যেসব এলসি খোলা রয়েছে সেগুলোর জন্য যেন পেঁয়াজ রপ্তানি করা হয়। নয়তো বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।