বাঁশখালীতে যাত্রীবাহী দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই বাসচালক ও সহকারীসহ অন্তত ৩৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে পিএবি সড়কের সাধনপুর দমদমা দিঘী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত আটজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ও অন্যান্যদের স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকদের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বাস যাত্রী ও স্থানীয়রা জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া পেকুয়া-মগনামা অভিমুখী যাত্রীবাহী সানলাইন সার্ভিস ও পেকুয়া উপজেলার টইটং থেকে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট অভিমুখী যাত্রীবাহী স্পেশাল সার্ভিস বাস দুটি দমদমার দিঘী এলাকায় পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয়রা দুর্ঘটনায় আহত যাত্রীদের উদ্ধারে তৎপরতা চালান। দুর্ঘটনাকবলিত বাস দুটিতে অন্তত ৫৫ জন যাত্রী ছিল।
দুর্ঘটনায় সানলাইন বাস চালক সাধনপুর ইউনিয়নের মো. ফারুক (৪০), স্পেশাল সার্ভিস নাজ এক্সপ্রেস চালক মো. দেলোয়ার (৩৫), সহকারী মামুন (৩২), যাত্রী পশ্চিম গুনাগরী গ্রামের মোক্তার আহমদ (৫৫), বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক জহিরুল কাদের জাবেদ (৪৫), কোকদণ্ডী গ্রামের পপি চক্রবর্তী (৪৭), জলদী গ্রামের রায় গোপাল শীল (৫৪), গ্রামীণ ব্যাংক সাধনপুর শাখার ম্যানেজার সরওয়ার কামাল (৫২), গণ্ডামারার শিশু রায়হান (১০)। অন্যান্য আহতদের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি। তবে আহতদের মধ্যে মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও বাস যাত্রীরা জানিয়েছেন।
সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী (খোকা) জয়নিউজকে বলেন, বাস দুর্ঘটনার পর খবর পেয়ে আমি স্থানীয় জনতা, চৌকিদার-দফদার নিয়ে আহতদেরকে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে থাকি। আহতদের মধ্যে ছয়জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুরুতর আহত সানলাইন বাসের চালক মো. ফারুককে গাড়ির সামনের অংশ কেটে উদ্ধার করা হয়েছে। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা চলছে।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম মজুমদার জয়নিউজকে বলেন, বাস দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উদ্ধার তৎপরতার মাধ্যমে আহতদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাস সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের মধ্যে কোনো যাত্রী নিহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি। তবে আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।