চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও তদারকি থাকলে যেকোনো কঠিন কাজ সুসম্পন্ন করা সম্ভব। এর উদাহরণ হচ্ছে পোর্ট কানেকটিং রোড।
নগরের আনন্দিপুর সড়ক আকস্মিক পরিদর্শনকালে এ মন্তব্য করেন।
শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে আনন্দিপুর সড়কে নিম্নমানের ইট পাথরসহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে রাতের অন্ধকারে সড়কের মেকাডম কাজ হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি এসড়ক পরিদর্শন করেন।
এসময় তিনি ঢালাই কাজে ব্যবহৃত ইট পাথর ও নির্মাণসামগ্রীর নমুনা সংগ্রহ করে তা যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন।
নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সড়কের এই অংশটি থেকে সংস্কার করা কাজ আবার নতুন করে শুরু হবে বলে তিনি জানান।
প্রশাসক এলাকাবাসীদের উদ্দেশে বলেন, সড়কের কাজের গুণগতমান ঠিক-ঠাকভাবে বজায় রাখা হচ্ছে কি-না তা দেখভালের দায়িত্ব চসিকের পাশাপাশি এলাকাবাসীরও। যেহেতু এই সড়ক আপনারাই ব্যবহার করবেন এবং আপনাদের দেওয়া ট্যাক্সেই অর্থায়ন সেহেতু কাজ ষোলআনা বুঝে নিবেন। সড়ক সংস্কার ও নির্মাণকাজের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম বা নয়-ছয় হচ্ছে কি-না তা অবগত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাকে জানান দ্রুত ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে-ইনশাল্লাহ্।
প্রশাসক সুজন সাগরিকা থেকে নিমতলা পর্যন্ত পোর্ট কানেকটিং রোড সরেজমিনে পরিদর্শন এবং নাগরিকদের সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। পরিদর্শনকালে তিনি সড়কের দুইপাশে সকল অবৈধ স্থাপনা দোকান-পাট, ফুটপাতের উপর রাখা নির্মাণ সামগ্রী এবং এই সড়কের বিভিন্ন অংশে দৃশ্যমান ট্রাক-লরি-কাভার্ডভ্যান-মুভার ও রিকশা স্ট্যান্ডগুলো দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে তা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন।
পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা হারেছ আহমদ, সাবেক কাউন্সিলর এসএম এরশাদ উল্লাহ, হাজী মো. ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান ও নিজাম উদ্দিন।