করোনাভাইরাস আতঙ্ককের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে নতুন ভাইরাস ‘টুইনডেমিক’ নিয়ে আতঙ্ক শরু হয়েছে। আর এজন্য আগাম ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন মার্কিন চিকিৎসকেরা।
চিকিৎসকরা বলছেন, সবচেয়ে আতঙ্কের হলো করোনা এবং ফ্লু-এর উপসর্গ প্রায় একই রকম। রোগীর শরীরে উপসর্গ দেখে কী হয়েছে তা বলা বেশ কঠিন।
সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই সময়টাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লু সিজনও বলা হয়। অর্থাৎ ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে দেখা দেয় জ্বর-ঠাণ্ডা-কাশির মতো প্রকোপ। এদিকে এমনিতেই করোনার কারণে নাজেহাল অবস্থা দেশটির। এর সঙ্গে আবার ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু-এর প্রকোপের আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা। এই পরিস্থিতিকে তারা বলছেন, ‘টুইনডেমিক সিচুয়েশন’।
সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, মানুষ বলতে পারছেন না, কিসের অসুস্থতা। দুই রোগেরই সাধারণ উপসর্গ হলো জ্বর, সর্দি-কাশি, প্রবল ঠাণ্ডা লাগা এবং শ্বাস নিতে কষ্ট। তবে পার্থক্য করোনায় গন্ধ, স্বাদের মতো অনুভূতি চলে যায়। কিন্তু করোনা আক্রান্ত সকলেরই যে আবার স্বাদ-গন্ধ চলে যায় তেমনটা নয়। আবার ফ্লু-তেও অনেক সময় ঠাণ্ডা লেগে নাক বন্ধ হয়ে যায়, জিভের স্বাদ চলে যায়।
তবে বিশেষজ্ঞরাই বলছেন, করোনার থেকে ইনফ্লুয়েঞ্জা সামলানো তুলনামূলক সহজ। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে উপসর্গ দেখা দেয় এক থেকে চারদিনের মধ্যেই। রোগ দ্রুত ধরা পড়লে, দ্রুত-চিকিৎসা সম্ভব।
জয়নিউজ/পিডি