কক্সবাজারের চকরিয়ায় ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে দুই বন্ধু মিলে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) চকরিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন।
মামলায় অভিযুক্ত দুই যুবকের মধ্যে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের উত্তর ঘুনিয়া গ্রামের মো. কামালের ছেলে শেফায়েত হোসেনকে (২০) জনতার সহাতায় আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। অপর অভিযুক্ত মো. মহিউদ্দিন (১৯) পলাতক রয়েছে।
সে একই ইউনিয়নের দিগরপানখালী গ্রামের মো. আবছারের ছেলে। তারা দুইজনেই টমটম চালক।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার ভাবির সঙ্গে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায় ওই কিশোরী। বিকালে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ঘুনিয়া এলাকার টমটম চালক শেফায়েত তার বন্ধু মহিউদ্দিনসহ কিশোরীকে ফুসলিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে হোটেলে নিয়ে তিন দিন অবস্থান করে। হোটেলে দুই বন্ধু মিলে তিনদিন ধরে তাকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা দুই বন্ধু মিলে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ওই কিশোরীকে তার বাড়িতে পৌঁছে দিতে যায়। বাড়ির কাছাকাছি চলে আসার পর রাস্তার পাশে স্থানীয় লোকজনকে দেখে সে চিৎকার করে কান্না শুরু করে দেয়। এক পর্যায়ে দুই যুবক পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন শেফায়েত হোসেনকে পাকড়াও করলেও মহিউদ্দিন পালিয়ে যায়।
চকরিয়া থানার পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান জয়নিউজকে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। একজন আটক করা হয়েছে। অপর আসামিকে ধরতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে। ভিকটিমকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।