লোহাগাড়ার তিন ইউনিয়নে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী অভিযোগ করেছেন তাঁদের নির্বাচন থেকে সরে যেতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে তাঁরা শঙ্কাপ্রকাশ করেছেন।
আগামী ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে আমিরাবাদ, লোহাগাড়া সদর ও আধুনগর ইউনিয়নের নির্বাচন। এতে দলীয় মনোনীত প্রার্থীর পাশাপাশি নির্বাচন করছেন বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এদের মধ্যে কয়েকজনের অভিযোগ, সরকারদলীয় প্রার্থীসহ নেতা-কর্মীরা তাদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। যাতে তারা নির্বাচনে অংশ না নেয়।
এ ব্যাপারে আমিরাবাদ ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল হক পেয়ারু জয়নিউজকে বলেন, আমি যাতে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে না পারি সেজন্য আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীসহ নেতা-কর্মীরা নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। এ অবস্থায় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে আছি।
অভিন্ন শঙ্কার কথা ব্যক্ত করেন একই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আমিরাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এস এম ইউনুচ। তিনি জয়নিউজকে বলেন, আমি তো এখনো নির্বাচনি প্রচারই শুরু করিনি। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এদিকে সরকারদলীয় কর্মী-সমর্থকদের চাপ প্রয়োগের অভিযোগ করেছেন লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাহাবউদ্দিন চৌধুরী। তিনি জয়নিউজকে বলেন, আমাদের কর্মী-সমর্থকদের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করছেন। বিষয়টি আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানাবো।
আধুনগর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল হক বাবুল বলেন, আমাদের দাবি স্বতঃস্ফূর্ত নির্বাচন। তবে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের কারণে তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
তবে এ ইউনিয়নের অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নাজিম উদ্দিন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
অপরদিকে লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন হিরু জয়নিউজকে বলেন, তিন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র বা অন্যান্য দলের প্রার্থীদের ভয়-ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অভিযোগের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেন রোমান খান জয়নিউজকে বলেন, এ ধরণের অভিযোগ আমি শুনেছি। এজন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে নির্বাচন কমিশন সর্বাত্মক চেষ্টা করছে লোহাগাড়ায় একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ার।
জয়নিউজ/বিআর