চট্টগ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একটিতে ছাড়া সব ইউনিয়নে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের রিটানিং অফিসাররা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফটিকছির সুয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়নাল আবেদীন পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৯০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হায়াত পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৯২ ভোট।
নানুপুরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শফিউল আজম পেয়েছেন ৪ হাজার ৮২৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীতের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আমান উল্লাহ পেয়েছেন ৩ হাজার ১৮৭ ভোট।
লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. নুরুছফা পেয়েছেন ৯ হাজার ৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহাবুদ্দিন পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৯০ ভোট।
এছাড়া আমিরাবাদে আওয়ামী লীগের এস এম ইউছুফ পেয়েছেন ১১ হাজার ১৬২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মালিক পেয়েছেন ২ হাজার ৮৬০ ভোট।
তবে চমক এসেছে আধুনগর ইউনিয়নে। এখানে বিজয়ী হয়েছেন আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নাজিম উদ্দিন। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৮৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টেবিল ফ্যান প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আইয়ুব মিয়া পেয়েছেন ২ হাজার ১৭৩ ভোট। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির উভয় প্রার্থীই পরাজিত হয়েছেন।
এদিকে সন্দ্বীপে হারামিয়া ইউনিয়ন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মো. জসিম উদ্দিন ৭ হাজার ৫৫৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ভোট শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। দুপুরে সুয়াবিল ইউনিয়নে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শোভনছড়ি জেএমসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুই জন আহত হন।
অপরদিকে লোহাগাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নজিবুন্নেসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং আমিরাবাদ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর আমিরাবাদ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এছাড়া আমিরাবাদে সুফিয়া আলিয়া মাদ্রাসা এবং লোহাগাড়া ইউনিয়নের তৈয়বিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়।
জয়নিউজ