সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত বরখাস্ত এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে সীমন্ত এলাকা থেকে ভারতীয় খাসিয়ারা আটক করে স্থানীয় বাংলাদেশিদের কাছে তুলে দেয়। পরে বিজিবির মাধ্যমে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
খাসিয়ারা আকবরকে কোমরে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছিল। ওই সময় তাকে বলতে শোনা গেছে, তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হতে পারে সেজন্য তিনি ভারতে আশ্রয় নেন। দুই মাস পরে পরিবেশ শান্ত হলে তাকে ফিরতে বলা হয়।
এর আগে রায়হান হত্যার দু’দিন পর গা ঢাকা দেন এসআই আকবর। পালিয়ে যান ভারতে। ঘটনার ২৮ দিনের মাথায় সোমবার সকালে ভারতের ডনা বস্তির খাসিয়ারা ভারতের অভ্যন্তর থেকে এসআই আকবরকে আটক করে। রোববার রাতে তাকে আটক করে বেধে রাখা হয়েছিল বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
সোমবার দুপুরে কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী ডনা এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের কাছে খাসিয়ারা তাকে তুলে দেয়। বিকেল ৩টার দিকে তাকে কানাইঘাট থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১১ অক্টোবর রাতে রায়হানকে নগরীর কাষ্টঘর থেকে ধরে আনে বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশ। ভোরে ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান। রায়হানের পরিবারের অভিযোগ, ফাঁড়িতে ধরে এনে রাতভর নির্যাতনের ফলে রায়হান মারা যান।
১১ অক্টোবর রাতে রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদি হয়ে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু আইনে মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে পিবিআই তদন্ত করছে। ইতোমধ্যে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে এএসআই আশেক এলাহি, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ ও টিটু চন্দ্র দাসকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে পিবিআই।
সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফুর রহমান জানিয়েছেন, কানাইঘাটের ডনা সীমান্ত থেকে এসআই আকবরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে কানাইঘাট থানায় রয়েছেন।