ভারতে আটক হওয়ার পর পুলিশের বরখাস্ত হওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়া তাকে ছেড়ে দিতে সংশ্লিষ্টদের ২০ লাখ টাকার লোভ দেখিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। আকবারকে আটককারীদের মধ্যে একজন এ তথ্য জানান।
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি বলেন, আকবর ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রাণভিক্ষা চেয়েছিল। জবাবে আমরা বলেছি, ‘তুমি দেশের শত্রু, তোমারে বাঁচাইয়া রাখা যাবে না। টাকার মূল্যের চেয়ে বিচারের মূল্য অনেক বেশি।’
আকবরকে আটকের বিষয়ে ওই আটককারী বলেন, আসামের শিলচরে অবস্থানরত তার একজন আত্মীয়কে দিয়ে প্রথমে আকবরকে আটক করা হয়। পরে তাকে ভারতীয় খাসিয়াদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। খাসিয়াদের হাত থেকে তিনিসহ পাঁচ বাংলাদেশি আকবরকে নিয়ে আসেন। এরপর সোমবার সকালে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ওই আত্মীয়ের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, তার আত্মীয়ই প্রথম এসআই আকবরের সন্ধান দেয়। শিলচরে গত কিছুদিন ধরে অবস্থানকারী আকবর তার আত্মীয়কেও পরিচয় জানাননি। ফেসবুকের ছবি দেখে তার ওই ব্যক্তি প্রথমে আকবরকে শনাক্ত করে।
আরও পড়ুন: যেভাবে ধরা পড়লেন এসআই আকবর (ভিডিও)
তিনি আরও বলেন, (ওই আত্মীয়) আমাকে ফোনে বিষয়টি জানানোর পর, আমি তাকে ম্যাসেঞ্জারে ফটো পাঠাতে বলি। ছবি দেখার পর তাকে বলি, ‘ঠিক আছে।’
এর মধ্যে আকবর গৌহাটি যাবে বলে (আমার আত্মীয়কে) জানায়। আমি বলি, যেভাবে হোক তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে আমাকে জানাও। এর মধ্যে আমি পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। ওরা (পুলিশ) বলে, ‘পারলে আনো’। এরপর রোববার মেঘালয় রাজ্যের সোনাপুর ব্রিজ এলাকায় খাসিয়া দিয়ে তাকে আটক করানো হয়।
সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, জেলা পুলিশের সরাসরি তত্ত্বাবধানে সোমবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৯টায় কানাইঘাটের ডনা সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার হন আকবর। পুলিশের কিছু ‘বিশ্বস্ত বন্ধুর’ সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে এসব তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তির মাধ্যমেই এসআই আকবরকে দেশে আনা হয়েছে বলে ১৯ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান।