স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বীর ‘শহীদ নূর হোসেন দিবসে’ চট্টগ্রামে অলোচনা সভা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম-বৃহত্তর চট্টগ্রাম আয়োজিত সভা নগরের দোস্তবিল্ডিং কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠন সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার।
সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার পলাশ বড়ুয়ার সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা লেয়াকত হোসেন, সংগঠনের সহসভাপতি নারীনেত্রী অ্যাডভোকেট সাইফুন্নাহার খুশী, আবদুল মালেক খান, দীপন দাশ, সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন, মহানগর সভাপতি রাজীব চন্দ, সংগঠনের নেতা ইঞ্জিনিয়ার এয়াকুব মুন্না, নবী হোসেন সালাউদ্দিন, অ্যাডভোকেট সৈকত দাশগুপ্ত, ইসমে আজিম আসিফ, ইমরান হোসেন, ভাস্কর দেব, কোহিনুর আকতার, রিপন সেন, সাদিয়ান মুনতাসীর রাফি, মো. সেলিম, শফিকুল ইসলাম ও মো. হাসান।
সভায় প্রধান অতিথি বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার বলেন, ১৯৮৭ সালের এই দিনে তৎকালীন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার রাজপথে লড়াই করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে আত্মাহুতি দেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক মন্ত্রে উজ্জীবিত সাহসী যুবক শহীদ নূর হোসেন। বুকে-পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ স্লোগানে শহীদ নূর হোসেনের এই মহান আত্মত্যাগ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসের এক বিরল ঘটনা।
‘শহীদ নূর হোসেনের বুকের তাজা রক্তদানের মধ্যদিয়ে তৎকালীন স্বৈরচারবিরোধী আন্দোলন আরো বেগবান হয় এবং অব্যাহত লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরশাসকের পতন ঘটে। শহীদ নূর হোসেন আমাদের চেতনায় চিরন্তন বহ্নিশিখা হয়ে থাকবে অনন্তকাল’- যোগ করেন বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার।