রাষ্ট্রীয় কাজকর্ম করার জন্য সরকারি তহবিল এবং দফতরের জন্য অপেক্ষা করছে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ট্রানজিশন টিম। জেনারেল সার্ভিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তাদের অনুমতি দিলেই কেবল তা সম্ভব। এই অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের দায়িত্বে রয়েছেন ট্রাম্পের নিয়োগ করা এমিলি মারফি।
তিনি একটি চিঠিতে সই করলেই রাষ্ট্রীয় তহবিল, সরকারি দফতর এবং সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করতে পারবে বাইডেন শিবির। তবে মারফি বলেছেন, কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন, বিষয়টি এখনও পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়নি। এ কারণে তিনি বাইডেন শিবিরকে অনুমতি দিতে পারছেন না।
বাইডেন টিম জানিয়েছে, তারা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছেন। অন্যান্য উপায়গুলো নিয়েও তারা আলোচনা করছেন। রয়টার্সকে বাইডেন শিবিরের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে ইউএস পাবলিক রেডিও’র সঙ্গে কথা বলেছেন রবার্ট ম্যাককেইন। রোনাল্ড রিগ্যান এবং জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের শাসনামলে জেনারেল সার্ভিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের জেনারেল কনসাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, এ মুহূর্তে বাইডেন শিবিরকে রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যবহার এবং সরকারি সংস্থার সঙ্গে তাদের কাজকর্ম শুরুর অনুমতি দেওয়া মারফির জন্য খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।
এর আগে মার্কিন নির্বাচনে ভোট গণনায় কারচুপি এবং জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রাজ্যে এখনও ভোট গণনা চলছে। এরমধ্যেই শনিবার জো বাইডেনকে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে মার্কিন গণমাধ্যম।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভোট গণনা এবং আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ার আগে পরাজয় স্বীকার করবে না বলে জানিয়েছে তার প্রচারণা শিবির।