নগরে এক নারীর ‘বিয়ে প্রতারণার’ অভিনব কৌশল প্রকাশ্যে এসেছে। ওই নারীর বিয়ের প্রতারণায় সহায়তা করেন খোদ তাঁর প্রথম স্বামী! শামীমা আক্তার মুক্তা নামের ওই নারীর এখন ঠাঁই হয়েছে কারাগারে।
মুক্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি যাকে টার্গেট করেন তাকে প্রথমে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে মোটা অঙ্কের কাবিনে বিয়ে করেন। এরপর নারী নির্যাতন মামলার ভয় দেখিয়ে তালাক নেন এবং কাবিনের টাকা আদায় করেন। এভাবে টাকা আদায়ের জন্য একাধিক বিয়ে করেছেন তিনি।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি মুক্তার। তথ্য গোপন করে প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করায় আকিবুল ইসলাম আকিব নামে এক ছাত্রলীগ নেতার দায়ের করা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আইয়ূব খান জানান, প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করায় শামীমা আকতার মুক্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল। প্রথম স্বামী থাকা অবস্থায় নিজেকে কুমারি পরিচয় দিয়ে তিনি একাধিক বিয়ে করেন। এ প্রতারণায় সহায়তা করে তার প্রথম স্বামী লোকমান। তাদের দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন আকিবুল ইসলাম আকিব।
তিনি আরও জানান, মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ প্রতিবেদন দেওয়ার পর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। মঙ্গলবার চকবাজার থানা পুলিশ দামপাড়া এলাকা থেকে মুক্তাকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে। আসামিপক্ষ জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে মুক্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে মামলার এজাহারে আকিবুল ইসলাম আকিব অভিযোগ করেন, ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শামীমা আক্তার মুক্তা তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় কাবিননামায় নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দেন মুক্তা। অথচ সে দুই সন্তানের জননী।
এর আগে আইয়ুব নামের এক ব্যবসায়ীকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন মুক্তা। নারী নির্যাতন মামলার ভয় দেখিয়ে আইয়ুবের কাছ থেকে তালাক নেন এবং কাবিনের টাকা আদায় করেন। প্রথম স্বামী লোকমান হোসেনকে দিয়ে প্রতারণার এ ফাঁদ পাতেন শামীমা আক্তার মুক্তা।
জয়নিউজ