ইরাকের সুন্দরী মডেলদের টার্গেট করে হত্যা করা হচ্ছে। সম্প্রতি সীমা কাসেম নামে সাবেক মিস ইরাক অভিযোগ করেন, তাকে হত্যার হুমকী দেয়া হয়েছে। সীমার ইন্সটাগ্রামে ২৭ লক্ষ ফলোয়ার রয়েছে।
তিনি তার অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও পোস্ট করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ইরাকে যেসব নারীরা নিজেদের চেষ্টায় একটা পরিচিতি তৈরি করেছে তাদেরকে ‘মুরগির মত জবাই’ করা হয়েছে।
কদিন আগেই দেশটিতে টারা ফারেস নামে একজন মডেলকে বাগদাদে গুলি করে হত্যা করা হয়। ফারেসের বয়স ছিল ২২ বছর। তিনি তার নিরাপত্তার জন্য গত তিন বছর ধরে ইরবিলে বসবাস করছিলেন। তবে মাঝে মাঝে রাজধানীতে আসতেন। গাড়িতে সেন্ট্রাল বাগদাদে যাওয়ার সময় দুইজন মোটরসাইকেল আরোহী দিনের বেলায় গুলি করে হত্যা করে তাকে। টারা ফারেসের বেশ জনপ্রিয়তা ছিল। ইন্সটাগ্রামে তার ফলোয়ার সংখ্যা ২৮ লক্ষ।
এই হত্যার আগে সৌদ আল আলী নামে একজন নারী হিউম্যান রাইটস অ্যাকটিভিস্টকে বাসরা শহরে গুলি করে মারা হয়।
এ বছরের আগস্ট মাসে বাগদাদে দুইটি বিউটি পার্লারের দুইজন নারী মালিককে তাদের নিজ বাড়িতে হত্যা করা হয়। টারা ফারেসের সাথে তাদের সামাজিক যোগাযোগ ছিল।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদী বলেন, হত্যাকাণ্ডগুলো সুপরিকল্পিত। কারা এই হত্যার সাথে জড়িত তা তদন্ত করা হচ্ছে।
ইরাকের হিউম্যান রাইটস গ্রুপ ইরাকি আল আমাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা হানা এডওয়ার্ড বলেছেন, যেসব নারীরা ‘পাবলিক ফিগার’ তাদেরকে আঘাত করার অর্থ অন্য নারীদের ঘরে বন্দি থাকতে বাধ্য করার একটা পরিবেশ তৈরি করা।
জয়নিউজে/আল্পনা/জুলফিকার