বোয়ালখালীতে পাগলা মহিষের আক্রমণে এক ব্যক্তি নিহতের ১৮ ঘণ্টা পর মহিষটিকে বধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ট্রাঙ্কুলাইজ গান (চেতনা নাশক ঔষধ) ব্যবহার করে দুপুর ২টার দিকে মহিষটিকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। এরপর মহিষটিকে জবাই করে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গতকাল রোবাবর বিকেলে পৌরসভার গোমদন্ডী ফুলতল এলাকায় একটি মহিষ সাধারণ মানুষকে আক্রমণ করতে থাকে। এসময় মহিষের আক্রমণে বোয়ালখালী পৌরসভা বহদ্দারপাড়া ইউছুপ তালুদার বাড়ীর আবুল কাশেমের ছেলে মো. ইসমাইল (৫০) নিহত হন।
আরও পড়ুন: বোয়ালখালীতে মহিষের আক্রমণে ১ জনের মৃত্যু
এছাড়া মধ্যম শাকপুরা এলাকার আবদুল হাকিমের স্ত্রী গুলছরা বেগম (৮৫), পশ্চিম গোমদন্ডী এলাকার সৈয়দ আহমদের স্ত্রী খুশি বেগম (৪৫), মনজুর আহমদের ছেলে নুরুল আবচার (৪০) ও পূর্ব গোমদন্ডী এলাকার আহমদ কবিরের পুত্র আবদুর রহিমসহ (২২) অন্তত ১০ জন আহত হন। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আছিয়া খাতুন জানান, সোমবার দুপুরে মহিষটিকে নিয়ন্ত্রণে আনার পর জবাই করে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। মহিষের আক্রমণে নিহত ইসমাইলের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।