যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তাদের দলাদলি, কোন্দল, একগুয়েমি সিদ্ধান্ত ও দায়িত্ব অবহেলার কারণে তিন বছর ধরে ‘এমটি মনোয়ারা’ অয়েল ট্যাংকারের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ট্যাংকার মালিক আবুল কালাম। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আবুল কালাম অয়েল সাপ্লাইয়ার্সের ছেলে মোহাম্মদ ফোরকান।
তিনি বলেন, কোনো অভিযোগ না থাকা সত্বেও যমুনা অয়েল কোম্পানির কর্মকর্তাদের এক পক্ষ অপর পক্ষকে ঘায়েল করতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ‘এমটি মনোয়ারা’ অয়েল ট্যাংকারকে পরিবহন বহরে যুক্ত করা হচ্ছে না। ফলে ২২ জন নাবিককে প্রতিমাসে বেতন-ভাতা প্রদান এবং বিপুল ঋণের বোঝা নিয়ে এমটি মনোয়ারা’র মালিক আবুল কালাম অয়েল সাপ্লাইয়ার্স দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে যমুনা অয়েল কোম্পানি এমটি মনোয়ারা’কে পরিবহন বহরে যুক্ত না করলে গত তিন বছরের ক্ষতিপূরণসহ এ ঘটনায় জড়িত যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড’র কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএন ইসলাম, কর্ণফুলী থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নাজিম উদ্দিন, সহসভাপতি মো. ইদ্রিস সওদাগর, কর্ণফুলী থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর বাদশা, চরলক্ষ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী রফিক আহমদ, এমটি মনোয়ারা’র মাস্টার নুরুদ্দিন, ড্রাইভার নুরুল আলম প্রমুখ।